Damodar River

লকডাউনের মধ্যেই মদের মৌতাত দামোদরের ধারে

এমনিতেই এই এলাকায় নদীর ধারে নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসে।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০১:৪৩
Share:

এ ভাবেই নদীর ধারে রোজ বসছে মদ্যপানের আসর। —নিজস্ব িচত্র

মদের দোকান খোলা হয়েছে। কিন্তু বার বন্ধ। তাই মৌতাত করে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করার কী হবে? সুরাসক্তরা তাই বেছে নিয়েছেন নদীর ধার। উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় দামোদরের ধারে সকাল থেকে বসছে মদ্যপানের আসর। মদের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস, থালা সব তাঁরা ফেলে যাচ্ছেন নদীর ধারে। তার জেরে নোংরা হচ্ছে পরিবেশ।

Advertisement

এমনিতেই এই এলাকায় নদীর ধারে নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসে। তবে লক ডাউন শুরু হওয়ার পরে এখানে বসে মদ্যপান করা বন্ধ হয়ে যায়। নদী যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। বোতল, প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস ফেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মদের দোকান খুলে যাওয়ায় ফের শুরু হয়েছে নদীর ধারে মদ্যপানের আসর। তিন-চার জন একসঙ্গে বসছেন কোনও শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই। যেহেতু মদের গ্লাসে চুমুক দিতে হচ্ছে তাই মাস্ক পরার বালাই নেই। নেই পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও টহলদারিও।

করোনা সংক্রমণের জন্য হাওড়াকে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। জেলায় অবাধে ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখনও সব দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু মহিষরেখায় দামোদরের পাড়ে এলে যেন মনে হবে এই ছোট্ট এলাকাটি রেড জোনের বাইরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবেই এই বাড়বাড়ন্ত।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা তথা মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির সম্পাদক জয়িতা কুণ্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘মদ বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল যে এখানে মদ্যপানের আসর বসতে পারে। তাই আমরা মদ্যপান না করার আবেদন জানিয়ে পোস্টার মেরেছিলাম। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়ে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।’’ এ বিষয়ে গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, লক ডাউন কার্যকর হচ্ছে কিনা তা নিয়মিতভাবে দেখা হয়। মহিষরেখায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন