ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই শালিমারে খুন বলে মত পুলিশের

ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে ধর্মেন্দ্র সিংহকে। শালিমার শ্যুট আউট কাণ্ডের তদন্ত করতে নেমে এমনই মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শালিমার শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৩২
Share:

ধর্মেন্দ্র খুনে পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তরা। নিজস্ব চিত্র।

ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে ধর্মেন্দ্র সিংহকে। শালিমার শ্যুট আউট কাণ্ডের তদন্ত করতে নেমে এমনই মনে করছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। ঘটনায় অভিযুক্ত চন্দন চৌধুরী এবং ভিকি সিংহ ঝাড়খণ্ড পালিয়ে যাচ্ছিল গাড়িতে। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ বর্ধমানের মেমারি থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। অন্য অভিযুক্ত দেবেন্দ্র মিশ্রকে হাওড়ার বি গার্ডেন এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ৩ জনকেই হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল মহসানা আখতার বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘‘মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ শালিমার থেকে বাইকে চেপে ফিরছিলেন ধর্মেন্দ্র সিংহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমর মাঝি। বাইক চালাচ্ছিলেন সমর। শালিমার তিন নম্বর গেটের কাছে ৩ জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে ৬ রাউন্ড গুলি চালায় ধর্মেন্দ্র ও সমরকে লক্ষ্য করে। তার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ধর্মেন্দ্র সিংহের। সমরের হাতে গুলি লাগে। পুলিশকে সমর জানান, চন্দন চৌধুরী গুলি চালিয়েছে। এর পর পুলিশ অভিযুক্তদের টাওয়ার লোকেশন দেখে। জানতে পারে, বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সেই মতো তাদের ছবি বর্ধমান পুলিশকে পাঠানো হয়। শুরু হয় নাকা চেকিং। মেমারির কাছে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে পুলিশের জালে।"

সঞ্জয় পালংদার নামে ধর্মেন্দ্র সিংহের ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার বলেছেন, ‘‘এলাকায় বড় বড় হাউসিং প্রজেক্টে ইমারতি দ্রব্য সাপ্লাই করত সবাই। প্রথমে একসঙ্গে কাজ শুরু করলেও পরে ধর্মেন্দ্র একাই কাজ করছিলেন দলবল নিয়ে। সেখান থেকেই বিবাদ শুরু।’’ ধর্মেন্দ্র সিংহ তৃণমূল নেতা ছিলেন। দলের নেতারা তাঁর খুনের জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এখনও কোনও রাজনৈতিক শত্রুতার আভাস পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিক। অন্য দিকে, আজ সকাল থেকেই বি গার্ডেন গেট এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। চারটে রুটের বাস চালানো হয়নি। কারণ, মঙ্গলবার শ্যুট আউটের ঘটনার পর ধর্মেন্দ্র অনুগামীরা ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাইকে। নতুন করে যাতে ঝামেলা না বাধে সে জন্য পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে এলাকায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথীর ছবি তোলাতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন