এক ইঞ্জিনিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার গোলমাল বাধে বৈঁচিতে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ির চালককে মারধর করে জনতা। উত্তেজিত জনতাকে হটাতে পুলিশ লাঠি চালায় এমনকী মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃত্যুর তদন্ত চলছে। পুলিশ এলাকা থেকে আটজনকে আটক করেছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পান্ডুয়া থানার বৈঁচি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের রাধাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার রাধাপ্রসাদবাবু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। মেয়ে রিয়া এবং স্ত্রী শুভ্রাকে নিয়ে থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিসাধন ঘোষ জানান, রাধাপ্রসাদ তাঁর বন্ধু ছিলেন। তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল এবং সে জন্য তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশ জানায়, এ দিন বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ থানায় ফোন আসে। তারপরই তাঁরা গিয়ে দরজা ভেঙে রাধাপ্রসাদবাবুর দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ দেরি আসার অভিযোগে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের গাড়ির চালককেও মারধর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিএসপি ডিএনটি র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালায় এবং মহিলাদেরও মারধর করে।