খুচরো: সমস্যার মূলে।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। কোন্নগরে একটি পেট্রলপাম্পে দুই অটোচালকের সঙ্গে ঝগড়া বেধেছে পাম্পের কর্মীদের। পাম্পের কর্মীটি ওই দুই অটোচালককে বলছেন, ‘টাকা থাকলে দিন, খুচরো নিতে পারব না’। অথচ ওই দুই চালক খুচরোতেই দাম মেটাবেন। আর এটা নিয়েই চলছে বচসা। তবে শুধু ওই পেট্রল পাম্প নয়, মুদির দোকান, কাপড়ের দোকান এমনকী চায়ের দোকানেও একই ছবি। খুচরা এক টাকা বা দু’টাকার কয়েন নিতে রাজি হচ্ছেন না কেউই, এমনটাই অভিযোগ। যার ফলে দোকানে কেনাকাটায় সমস্যা হচ্ছে। ঝগড়াঝাঁটিতে জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-দোকানি দু’জনেই।
কয়েক মাস আগেও বাজারে খুচরা পয়সা নিয়ে সমস্যা ছিল। তবে বতর্মানে বাজারে প্রচুর পরিমাণে খুচরা সরবরাহ হয়েছে। বিশেষ করে এক বা দুই টাকার কয়েন। আর এতেই সমস্যা বেড়েছে। এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘‘সমস্যা আরও বেড়েছে ব্যাঙ্কের জন্য। ব্যাঙ্ক এক বা দুই টাকার কয়েন নিচ্ছে না। মহাজনেরাও কয়েক নিচ্ছেন না। ফলে নতুন করে মাল কিনতে অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যবসা চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
পান্ডুয়া ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক গোপল চন্দ্র দে বলেন, ‘‘খুচরো নিয়ে যা অবস্থা তাতে ব্যবসা করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এক বা দুই টাকার কয়েন ব্যাঙ্ক নিচ্ছে না। আবার সাধারণ মানুষও খুচরো দিচ্ছেন। প্রতিদিন খদ্দেরের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোনও নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলি নিজেরা খুচরো নিতে না চাওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। পান্ডুয়ার বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক অফিসার বলেন, ‘‘খুচরো এক বা দু টাকার কয়েন আমরা নিচ্ছি। কয়েন নিয়ে বাজারে কেউ গুজব ছড়াচ্ছে। কোনও কয়েন বাতিল হয়নি।’’ ব্যাঙ্ক অফিসার যাই বলুন, এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারন মানুষ থেকে দোকানদার, ব্যবসায়ী সকলেই।