সর্ষের ভিতরেই কি ভূত, সন্দেহ ব্যাঙ্ক লুঠে

সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশনের স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার অফিস খোলার পর এই চুরির ঘটনা নজরে আসে। আরপিএফ, জিআরপি, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মোড়া হাওড়া স্টেশনের মত জায়গায় এই চুরি নিয়ে দিনভর তোলপাড় হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুষ্কৃতী এক জনই ছিল, অনেকে নয়। কিন্তু সে গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকেনি, চুরির পর গ্রিল ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল। হাওড়া স্টেশনের ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই নতুন তথ্য পেয়েছে রেল পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুষ্কৃতী শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার আগে, ব্যাগে করে যন্ত্রপাতি ও খাবার-দাবার নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল। লুকিয়ে ছিল ব্যাঙ্কের ওপরের সিঁড়িতে। এর পর শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে একাই ‘অপারেশন’ চালিয়ে, ম্যানেজারের ঘরের জানলার গ্রিল ভেঙে বেরিয়ে, স্টেশনের জনতার ভিড়ে মিশে যায়। ধরা পড়ার ভয়ে ওই দুষ্কৃতী তার সব যন্ত্রপাতিও ব্যাঙ্কের ভিতর ফেলে গিয়েছিল। কিন্তু কী করে সে সকলের নজর এড়িয়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকেছিল এবং লুকিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ঘটনায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি জড়িত না-থাকলে, এই ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়।

হাওড়া রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতী যে খাবার-দাবার নিয়ে এসেছিল, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কিন্তু কী ভাবে ব্যাঙ্কের অফিসার ও কর্মী-সহ সব নিরাপত্তা রক্ষীর চোখ এড়িয়ে সে ব্যাঙ্কের ভিতরে থেকে গেল, সেটাই বিস্ময় বাড়াচ্ছে।’’

Advertisement

সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশনের স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার অফিস খোলার পর এই চুরির ঘটনা নজরে আসে। আরপিএফ, জিআরপি, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মোড়া হাওড়া স্টেশনের মত জায়গায় এই চুরি নিয়ে দিনভর তোলপাড় হয়। ঘটনাস্থলে আসেন রেল পুলিশের পদস্থ কর্তা-সহ সিআইডি ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বাহিনী। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, যে ভাবে জানলার গ্রিল ভেঙে, দেওয়াল কেটে, ব্যাঙ্কের খুচরো-সহ দেড় লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে এবং ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, তা একাধিক দুষ্কতীর কাজ বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে আপাতত জানা গিয়েছে, ওই কাজ এক জন দুষ্কতীই করেছে। তার ছবিও মিলেছে।

এ দিনই রেল পুলিশের কর্তাদের নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তা দেখে তদন্তকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ‘রেইকি’ করার পর ব্যাঙ্কে ঢুকে ভল্ট কাটার চেষ্টা হয়েছে ও এবং নিঁখুত ভাবে ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম ও সিসি ক্যামেরার তার কাটা হয়েছে। তবে ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই ওই দুষ্কৃতীর ছবি পাওয়া গিয়েছে। ওই ছবি দেখেই তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন