ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুতে বিঘ্ন উলুবেড়িয়ায়

ঘন ঘন বাজ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো ইনসুলেটরে ফাটল দেখা দিয়েছিল। যার জেরে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দপুর পর্যন্ত হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর প্রভৃতি এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০১
Share:

ঘন ঘন বাজ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো ইনসুলেটরে ফাটল দেখা দিয়েছিল। যার জেরে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দপুর পর্যন্ত হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর প্রভৃতি এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঘন ঘন বাজ পড়তে থাকে। রাত দশটা পর্যন্ত এমন অবস্থা চলে। ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাতের দিকে কিছু এলাকায় ফের বিদুৎ সরবরাহ সম্ভব হলেও বেশিরভাগ এলাকাতেই বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এমনিতেই গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বুধবারের ঝড়বৃষ্টির ফলে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসে। সেই সময় পর্যন্ত জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে হয়।

এইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে আছে রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বণ্টন নিগমের উলুবেড়িয়া ডিভিশন। ডিভিশন সূত্রে খবর, ঘন ঘন বাজ পড়ায় বিদ্যুতের খুঁটির উপরে থাকা ইনসুলেটর ফেটে যায়। সেগুলি বদলে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সেই কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। তা হলে অন্যান্য দিন কেন লোডশেডিং হচ্ছে সেই প্রশ্নে ডিভিশনের এক কর্তা জানান, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। তাই আগাম কিছু মেরামতির কাজ করিয়ে রাখতে হয়। সেই কারণেই কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন