সুলতানি জবাব

‘মহিলাকে রিভলভার ধরিয়ে বেশ করেছি’

কারওর হাতে পিস্তল দেওয়ায় এবং তা হাতে ধরে ছবি তোলায় কোনও অন্যায় নেই, এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বালির তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৪৭
Share:

কারওর হাতে পিস্তল দেওয়ায় এবং তা হাতে ধরে ছবি তোলায় কোনও অন্যায় নেই, এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বালির তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহ।

Advertisement

আগে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ‘রটনা’ বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় মহিলা ‘নেত্রী’র সঙ্গে পিস্তল নিয়ে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর দাবি, ‘‘আমার লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল কাউকে দেখতে দিতেই পারি। তিনি তা হাতে নিয়ে চালানোর মতো করে ছবিও তুলতে পারেন। তাতে অন্যায়ের কী?’’ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বালির ওই ‘নেত্রী’ মিলি রায়ের হাত ধরে পিস্তল তাক করে সুলতান। মিলিদেবীও বলেছে‌ন, ‘‘কী ভাবে ট্রিগার টিপতে হয়, স্যার তা দেখাচ্ছিলেন।’’ প্রশ্ন উঠেছে, এক প্রাক্তন পুলিশকর্তা কী ভাবে এ কাজ করতে পারেন?

পুলিশকর্তাদের মতে, নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রকাশ্যে কারও হাতে দেওয়া নিয়ম-বিরুদ্ধ। তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি (শহর) তথা মন্ত্রী ও আইনজীবী অরূপ রায় বলেন, ‘‘ফৌজদারী আইন জানি না। তবে কারও হাতে পিস্তল দেওয়া ঠিক নয়।’’

Advertisement

হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ডি পি সিংহ বলেন, ‘‘অঘটন ঘটলে যাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র, তাঁর উপরে দায় পড়ত। কিন্তু কিছু ঘটেনি। তাই তদন্ত করার কিছু নেই।’’

এ দিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই বালি ও বেলুড়ের টোটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ নিয়ে কথা বলতে দুপুরে থানায় আসেন সুলতান। সঙ্গে ছিলেন মিলিদেবীও। বেরিয়ে বিধায়কের গাড়িতেই যেতে দেখা যায় মিলিদেবীকে। বালিখাল স্ট্যান্ডের টোটোচালকদের অভিযোগ, বেলুড়ের দিকে গেলে তাঁদের মারধর করছেন মিলিদেবীর ঘনিষ্ঠ টোটোচালকেরা। মিলিদেবীরও অভিযোগ, বেলুড়ের চালকদের মারধর করা হচ্ছে। এ দিন মিলিদেবী বলেন, ‘‘আমি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার।’’ যদিও সুলতান সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন।

অরূপবাবু বলেন, ‘‘দলের সুনাম নষ্ট করলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। সুলতান সিংহকে বলেছি বিষয়টি দেখতে। টোটো নিয়ে যা চলছে তা বরদাস্ত করা হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement