অভাবকে জয় করে ৫৭৯ সুরজিতের

তার বাবা ভ্যান চালান। মা বিড়ি বাঁধেন। পরিবারে অভাব নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সেই অভাব উত্তরপাড়ার কানাইপুর শ্রীগুরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সুরজিৎ দাসের মাধ্যমিকে ভাল ফলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। মাধ্যমিকে সে ৫৭৯ নম্বর পেয়ে সে-ই স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বরের অধিকারী। অঙ্কে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৪, ভৌতবিজ্ঞানে ৯০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৪। এ বার বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় কানাইপুর পঞ্চায়েতের বারুজীবী কলোনির বাসিন্দা সুরজিৎ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৫ ০০:৪৭
Share:

সুরজিৎ দাস। — নিজস্ব চিত্র

তার বাবা ভ্যান চালান। মা বিড়ি বাঁধেন। পরিবারে অভাব নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সেই অভাব উত্তরপাড়ার কানাইপুর শ্রীগুরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সুরজিৎ দাসের মাধ্যমিকে ভাল ফলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। মাধ্যমিকে সে ৫৭৯ নম্বর পেয়ে সে-ই স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বরের অধিকারী। অঙ্কে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৪, ভৌতবিজ্ঞানে ৯০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৪। এ বার বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় কানাইপুর পঞ্চায়েতের বারুজীবী কলোনির বাসিন্দা সুরজিৎ। প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে চলতে চায়। কিন্তু তার সেই ইচ্ছেয় বাধ সাধছে পরিবারের আর্থিক অবস্থা। ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ কী করে চলবে, তা নিয়ে এখন থেকেই ভেবে আকুল সুরজিতের বাবা স্বপনবাবু এবং মা সীমাদেবী। সুরজিৎ বলে, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক প়ড়ার খরচ অনেক। বাবা-মা বলছে, আমাকে পড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। কিন্তু সত্যিই অত খরচ ওরা জোগাড় করতে পারবেন কি না, জানি না।’’ পঞ্চম শ্রেণি থেকে সুরজিতকে পড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মহুয়া সমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘‘সুরজিৎ খুবই প্রতিভাবান। আশা করব, আর্থিক প্রতিকূলতা দূর করে ওর প্রতিভা বিকশিত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন