উড়ালপুলের কাজ চলাকালীন ওই এলাকায় যান চলাচলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতায়াতও বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর নীচে গাড়ি রাখার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেট হাইওয়ে অথরিটির পক্ষ থেকে ওই সেতুর কাজ করা হচ্ছিল। সেতুর গার্ডার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়ার পরেই রাইটসকে (রেল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনায়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল সার্ভিসেস) তদন্ত ভার দেওয়া হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে সেতুর নকশায় কোনও ত্রুটি ছিল না। এবং গার্ডার তৈরির জিনিসপত্রের গুণমানও ঠিক ছিল। যে এসকাভেটারের সাহায্যে গার্ডার তোলার কাজ চলছিল তার চালক ছিলেন বিজন সিকদার। তাঁর ভুলেই গার্ডারটি নীচে পড়ে গিয়েছে। নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উড়ালপুলের কাজ চলার সময় যেন ওই এলাকা ঘিরে রেখে কাজ করা হয়। সেতুর নীচে গাড়ি রাখা নিষেধাজ্ঞার পাশপাশি পাশাপাশির কাজের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা ও বলা হয়েছে।
রবিবার সকালে হুগলির মগরায় ১৩ নম্বর রেল গেটের কাছে জিটিরোডে উড়ালপুলের গার্ডার ভেঙে পড়ে। কেউ হতাহত না হলেও নির্মাণে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে উড়ালপুলের কাজ শেষ হওয়ার কথা।