বাইক ধরেই সাফল্য,দাবি

পথ দুর্ঘটনা কমছে গ্রামীণ হাওড়ায়

জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এপ্রিল মাসের সর্বশেষ সমীক্ষা বলছে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পথ দুর্ঘটনা হয়েছিল ৪৫টি। মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। সেখানে ২০১৭ সালের এপ্রিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪৩। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মে মাসের চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

নজর: যান নিয়ন্ত্রণে নজরদারি। নিজস্ব চিত্র

পাল্টাচ্ছে ছবিটা।

Advertisement

কোনও মোটরবাইক তিন জনকে নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটছে। কোনও আরোহী হেলমেট না-পরেই জাতীয় সড়কে মোটরবাইক নিয়ে বড় গাড়ির সঙ্গে গতির পাল্লা দিচ্ছেন। গত বছর পর্যন্ত এমন ছবি হামেশাই দেখা যেত গ্রামীণ হাওড়ার নানা এলাকায়। কিন্তু জেলা পুলিশ নিয়মের কড়াকড়ি করায় সেই ছবিটা পালাচ্ছে। আর এ জন্য গ্রামীণ হাওড়ায় দুর্ঘটনা এবং সেই কারণে মৃত্যুর হারও কমছে বলে পুলিশের দাবি।

জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এপ্রিল মাসের সর্বশেষ সমীক্ষা বলছে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পথ দুর্ঘটনা হয়েছিল ৪৫টি। মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। সেখানে ২০১৭ সালের এপ্রিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪৩। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মে মাসের চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি। তবে, প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত, ২০১৬ সালের মে মাসে যে হারে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল তার তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে দু’টি ক্ষেত্রেই তা অনেকটা কম।

Advertisement

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার সুমিতকুমার বলেন, ‘‘তুলনামূলক পরিসংখ্যানে গত বছরের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু যদি একটিও কমে, সেটাকেই বড় সাফল্য বলে ধরা হয়। সেই হিসেবে এ বার দুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটা কম। এই হার আমরা আরও কমাতে চাই।’’

হাওড়া জনবহুল জেলা। এই জেলা চিরে গিয়েছে মুম্বই রোড। মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্য সড়ক। সব রাস্তাতেই সব সময় মানুষ এবং গাড়ির ভিড় থাকে। ফলে, পথ দুর্ঘটনা এবং সেই কারণে মৃত্যুর হার এই জেলায় গত বছর পর্যন্ত অনেক বেশি ছিল। এ বার কী ভাবে কমানো গেল দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর হার?

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নতুন পরিকল্পনা করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরবাইকে। জেলা পুলিশের লোকবল কম। তাই সব গাড়ির দিকে নজর না দিয়ে শুধুমাত্র মোটরবাইকের উপরে কড়াকড়ি করা হয়। যা আগে করা হতো না। এর জেরেই মিলছে সাফল্য।

জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, ২০১৪, ‘১৫ এই দু’বছরে এপ্রিল-মে মাসে একই মোটরবাইকে তিনজন চড়ার উপরে কোনও মামলা হয়নি। ২০১৬ সালে ওই দুই মাসে মামলা হয় যথাক্রমে ৪২ এবং ৭৮ জনের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ওই দুই মাসে মামলা হয়েছে যথাক্রমে ১৮২ এবং ৫৫২ জনের বিরুদ্ধে। মামলার সংখ্যা বেড়েছে হেলমেট না-পরা মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধেও। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কারা কতবার জরিমানা দিচ্ছেন তা কম্পিউটারে লোড করা থাকছে। তিনবার জরিমানার পরেও যাঁরা ধরা পড়বেন, তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িক ভাবে বাতিল করা হবে।’’

বাইক আরোহীদের নিয়মে বাঁধতে কোমর বেঁধেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন