শাটার ভেঙে লুঠ সোনার দোকানে

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি সোনার দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার সাঁতরাগাছি মোড়ের কাছে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কাঁধে ঝুলিয়ে ভদ্রস্থ পোশাকে ওই দুষ্কৃতীরা এসেছিল একটি সাদা গাড়িতে। প্রায় আধ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে ওই গাড়িতেই পালায় তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ০০:০৬
Share:

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি সোনার দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার সাঁতরাগাছি মোড়ের কাছে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কাঁধে ঝুলিয়ে ভদ্রস্থ পোশাকে ওই দুষ্কৃতীরা এসেছিল একটি সাদা গাড়িতে। প্রায় আধ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে ওই গাড়িতেই পালায় তারা। অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ গজ দূরে চক্রবেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও দেখা মেলেনি রাতের টহলদার পুলিশের।
গত বুধবারই দাবি মতো টাকা না দেওয়ার অভিযোগে শালিমারের কলেজঘাট রোডের এক আবাসনে ঢুকে ভাঙচুর-তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ওই দিন থানায় ফোন করেও দেখা মেলেনি পুলিশের। এরই মধ্যে শুক্রবারের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি ব্যর্থতাকে ফের বেআব্রু করে দিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারাও।
পুলিশ জানায়, শনিবার স্থানীয়েরাই প্রথম দেখেন ওই দোকানের শাটার ও কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। উধাও শো-কেসে রাখা গয়না। তাঁরাই দোকানমালিক ও পুলিশকে খবর দেন।
দোকানের মালিক সুজয় কাঁড়ার জানান, প্রায় এক কেজি সোনার গয়না ছিল। শুধু শোকেসই নয়, লোহার সিন্দুক ভেঙেও গয়না নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, ‘‘সামনে পুলিশ ফাঁড়ি, তাই নিশ্চিন্ত থাকতাম। এখন দেখছি ভুল ভেবেছিলাম। এতক্ষণ ধরে চুরি হল অথচ পুলিশ জানলো না।’’

Advertisement

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক চায়ের দোকানি বলেন, ‘‘রাতে ওই দোকানের সামনে গাড়ি দেখে ভাবি পাশের ফ্ল্যাটের ডাক্তারবাবু এলেন। পরে দেখি কাঁধে বন্দুক ঝোলানো তিনজন গাড়ির সামনে পাহারা দিচ্ছে। আর দু’জন শাটার খুলে সোনার দোকানে ঢুকছে।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘দোকানে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। তবে রাতে পুলিশ পাহারা দেয় না বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়।’’ ঘটনার সময়ে পুলিশ আসেনি কেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

ওই রাতেই শ্যামনগরের রাহুতাকে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালায় একদল দুষ্কৃতী। পুলিশ জানায়, ওই এলাকাতেই সোনার দোকান ব্যবসায়ী সাগর দে-র। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির দরজার ছিটকিনি ভেঙে পাঁচ-ছ’জনের একটি দুষ্কৃতী দল ঢুকে পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তারা সাগরবাবুর থেকে আলমারির চাবি নেয়। লক্ষাধিক টাকার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। সাগরবাবু জানান, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র বা ভোজালি ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন