জলমগ্ন: জলে ভাসছে হাসপাতাল চত্বর। নিজস্ব চিত্র
ঠেকায় না পড়লে সাধারণত কেউ হাসপাতালে যান না। কিন্তু এখন ঠেকায় পড়লেও কেউ সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে চাইছেন না। কারণ সামান্য বৃষ্টি হলেই জল থইথই করছে সিঙ্গুর হাসপাতাল চত্বর। জমা জল থেকে বাড়ছে নানা রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা। রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির পরে জল জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক ধরেই ওই হাসপাতালে নিকাশির হাল খারাপ। কারণ জল বেরোনোর রাস্তা নেই। সমস্যায় পড়ছেন রোগী এবং তার পরিবারের লোকজন। জমা জলে দাঁড়িয়েই রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে হচ্ছে। রোগীর আত্মীয়দের ক্ষোভ, ‘‘প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই হাসপাতালের এমন হাল। তিন বছর ধরেই এই অবস্থা চললেও সমস্যা মেটেনি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিঙ্গুরের গ্রামীণ হাসপাতালটির উপরেই ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ নির্ভর করেন। সিঙ্গুরের উপর দিয়েই গিয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালেই আনা হয়। সেখানেই নিকাশির এমন বেহাল দশা। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় সুখেন পালের অভিযোগ, ‘‘শুধু রোগী বা রোগীর আত্মীয় নয়, কর্মরত চিকিৎসক থেকে হাসপাতালের কর্মী— সবাই তো নোংরা জল পার করে আসছেন। জমা জল থেকেই নানা রোগ ছড়াবে।’’
সিঙ্গুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মহিতোষ সিংহ ফোন ধরেননি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের দেখা উচিত। সমস্যাটি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানালে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’