medical college

মিলল জমি, শীঘ্রই মেডিক্যাল কলেজ

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দু’টি লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি মেনেই বছর তিনেক আগে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এটি উলুবেড়িয়া এবং হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০১
Share:

প্রতীকী চিত্র. ছবি:শাটারস্টক

প্রস্তাবিত উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের জন্য জমি হস্তান্তর হয়ে গেল সম্প্রতি। ফলে, প্রকল্পের কাজ শুরুর পথে আর কোনও বাধা থাকল না।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য এমসিআইয়ের অনুমোদন এসে গিয়েছে। জমিও স্বাস্থ্য ভবনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দু’টি লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি মেনেই বছর তিনেক আগে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এটি উলুবেড়িয়া এবং হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। স্বাস্থ্য ভবন প্রস্তাব অনুমোদন করে।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া-ও (এমসিআই) প্রস্তাবে সায় দেয়। কলেজ তৈরির জন্য যৌথ ভাবে টাকা খরচ করবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার।
মহকুমা হাসপাতালটি বর্তমানে সুপার স্পেশ্যালিটি স্তরে উন্নীত হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, মেডিক্যাল কলেজ হতে গেলে হাসপাতালে ৫০০ শয্যাসংখ্যা দরকার। সুপার স্পেশ্যালিটিতে শয্যাসংখ্যা ৭০০।
ফলে, সেই মাপকাঠিতে কোনও অসুবিধা নেই। দরকার ছিল কুড়ি একর জমি। তার মধ্যে মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই আছে ১৫ একর। বাকি পাঁচ একর জমি কিছুটা দূরের নিমদিঘির সরকারি বীজ-খামার থেকে নেওয়া হয়েছে।
ওই পাঁচ ৫ একর জমি যৌথ ভাবে পরিদর্শন করে প্রস্তাবে সায় দেন স্বাস্থভবন এবং এমসিআইয়ের কর্তারা। জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় পাঁচ একর জমি স্বাস্থ্য দফতরকে হস্তান্তর করে জেলা ভূমি দফতর। সম্প্রতি সেই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে হবে মেডিক্যাল কলেজের পঠন-পাঠন। নিমদিঘিতে হবে শিক্ষক এবং ছাত্রদের আবাসন। তবে, কোন শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠন-পাঠন চালু হবে বা মেডিক্যাল কলেজে কতগুলি আসন থাকবে সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মাঝে একবার এমসিআই-এর প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে আসেন। হাসপাতালের সামনের রাস্তা যে ভাবে জবরদখল করে দোকান হয়েছে তা দেখে তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাঁদের বক্তব্য ছিল, মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তা এত ঘিঞ্জি হলে হবে না। জেলা প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য তাঁদের আশ্বাস দেন, কলেজ তৈরির কাজ শুরু হলে এই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন