ব্যাট-বল রাখার ঘর নেই, সমস্যায় স্কুল ক্রীড়া সংসদ

ঢাল-তরোয়াল থাকলেও রাখার জায়গা নেই হাওড়া জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের। কারণ, সংসদের নিজস্ব ঘরই নেই। বিভিন্ন স্কুলে রাখা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং ট্রফি। বড় খেলার আয়োজনের সময়ে সব দিক সামাল দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সংসদ কর্তারা।

Advertisement

অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৯
Share:

এভাবেই পড়ে আছে সরঞ্জাম। — নিজস্ব চিত্র।

ঢাল-তরোয়াল থাকলেও রাখার জায়গা নেই হাওড়া জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের। কারণ, সংসদের নিজস্ব ঘরই নেই। বিভিন্ন স্কুলে রাখা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং ট্রফি। বড় খেলার আয়োজনের সময়ে সব দিক সামাল দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সংসদ কর্তারা।

Advertisement

সংসদের সম্পাদক প্রদীপ কোলে বলেন, ‘‘ঘরের বিষয়টি অনেক বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও ফল হয়নি। বর্তমান সরকার স্কুল ক্রীড়ার মান উন্নয়নে চেষ্টা করছেন। আশা করছি আমাদের সমস্যাটিও ভেবে দেখা হবে।’’ রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের এক কর্তা জানান, উপযুক্ত ঘরের খোঁজ চলছে।

রাজ্যের স্কুল ক্রীড়ার মানোন্নয়নে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদগুলিকে পুনর্গঠন করা হয়। জেলা স্তরের স্কুল ক্রীড়া আয়োজন, জেলার দল নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংসদগুলিকে। নতুন সংসদ তৈরির পরে অনেকগুলি ইভেন্ট সফল ভাবে আয়োজন করেছে হাওড়া জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ। দল নির্বাচনেও এখনও তেমন অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। কারণ, সরকারি ভাবে এখনও হাওড়া জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের নিজস্ব ঘর নেই। সংসদের এক কর্তার দাবি, অন্য জেলায় জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) অফিস লাগোয়া জায়গায় বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের অফিস রয়েছে। ব্যতিক্রম হাওড়া। বাধ্য হয়ে হাওড়া শহর লাগোয়া কয়েকটি স্কুলে রাখা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং ট্রফি। গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা হচ্ছে জেলা শারীরশিক্ষা অধিকর্তার ঘরে।

Advertisement

ওই সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে রাজ্য সরকার থেকে পাওয়া অনুদানের ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হাইজাম্পের আধুনিক ম্যাট কেনা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের ঘর না থাকায় সেটি দক্ষিণ হাওড়ার থানামাকুয়া মডেল হাইস্কুলে রাখা হয়েছে। কোনও প্রতিযোগিতা থাকলে সেখান থেকেই ওই ম্যাট নিয়ে যান আয়োজকেরা। এ ছাড়াও কয়েকটি স্কুল এবং জেলা শারীরশিক্ষা আধিকারিকের ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, জ্যাভলিন, শটপাট-সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম। সমস্যা রয়েছে আরও। সংসদের নিজস্ব ঘর না থাকায় গ্রামীণ হাওড়ার ছেলেমেয়েদের দূরের জেলা থেকে খেলে ফিরতে রাত হয়ে গেলে কখনও স্টেশনে, কখনও কোনও স্কুলে রাত কাটাতে হয়। একই কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে পুরো দলকে এক ছাতার নীচে এনে রাখা সম্ভব হয় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন