দুই জেলায় সোমবার পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে সিঙ্গুরের রতনপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। চাকা ফেটে যাওয়ায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় গাড়ি আরোহী রণজিৎ চক্রবর্তী (৭০) ও তাঁর পূত্রবধূ পারমিতা চক্রবর্তীর (৩৪)। তাঁরা দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, চক্রবর্তী পরিবারের পাঁচজন ওই গাড়িতে কলকাতায় একটি বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন। বাঁ দিকের পিছনের চাকা ফেটে যাওয়াতেই ওই দুর্ঘটনা। গতি বেশি থাকায় গাড়িটি দু’তিনবার উল্টে যায়।
গাড়ির আরও তিন আরোহীকে জখম অবস্থায় প্রথমে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের ডানকুনির এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
দুপুরে আমতায় অন্য একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক চালকের। নিশ্চিন্দপুরের এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম সুমন্ত নস্কর (২৫)। তিনি লিলুয়ার চামরাইলের বাসিন্দা। দুই বন্ধুকে নিয়ে বাইকে উদয়নারায়ণপুরের দিকে যাচ্ছিলেন সুমন্ত। হঠাৎই বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে সামনের একটি মোটরচালিত ভ্যানকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সুমন্ত। বাকি দুই জখম জয়পুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় আরামবাগের পল্লিশ্রীতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে মিলন সাঁতরা (২৫) নামে এক মোটরবাইক চালকের। গোঘাটের ওই বাসিন্দা দুটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা মারেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলন।