সাজদার কাছে ‘হার’ ইদ্রিশের!

সাজদার জয়ের ব্যবধান যেখানে ১৯ হাজার ৭০০, সেখানে ইদ্রিশের জয়ের ব্যবধান ১৫ হাজারের আশপাশে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

জয়ী: ইদ্রিশ আলি। নিজস্ব চিত্র

একই বিধানসভা কেন্দ্র। একই দলের দুই প্রার্থী (একজন অবশ্য লোকসভার)। কিন্তু ভিন্ন রায় ইভিএমে!

Advertisement

উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে যে ভোট পেয়েছেন, তা পেলেন না এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রাথী ইদ্রিশ আলি। সাজদার জয়ের ব্যবধান যেখানে ১৯ হাজার ৭০০, সেখানে ইদ্রিশের জয়ের ব্যবধান ১৫ হাজারের আশপাশে।

এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন হায়দর আজিজ সফি। তাঁর মৃত্যুতেই এখানে উপ-নির্বাচন হয়েছে। তৃণমূল এখানে প্রার্থী করে বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে। প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে দলের নেতাকর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ‘বহিরাগত’কে প্রার্থী করা চলবে না। পরে অবশ্য নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠে যায়। কিন্তু সেই অন্তর্দ্বন্দ্বের রেশ কি থেকে গিয়েছিল? বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পরে দলের অন্দরেই উঠেছে সেই প্রশ্ন।

Advertisement

এই কেন্দ্রে অনেক আগে থেকে বিজেপির প্রভাব আছে। এই এলাকা থেকে পুরসভায় বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরও আছেন। এই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন খলিসানি পঞ্চায়েত রয়েছে বিজেপির দখলে। এ বারের নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হলেও সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কার্যত তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের সামনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলেরই লোকসভার প্রার্থীর সঙ্গে বিধানসভার প্রার্থীর ভোট পাওয়ার এই ফারাকই রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়।

এর জন্য অবশ্য বিজেপি এবং সিপিএমের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন ইদ্রিশ। তাঁর দাবি, ‘‘দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল না। কিন্তু যেহেতু সিপিএম এবং বিজেপি প্রার্থী ছিলেন স্থানীয়, তাই তাঁরা মানুষকে বুঝিয়েছেন, বিধানসভার ভোট তাঁদের দেওয়ার জন্য ও লোকসভার ভোট সাজদাকে দেওয়ার জন্য। তাতেই কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন।’’

ওই বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লার দাবি, ‘‘ইদ্রিশ বহিরাগত হওয়ায় স্থানীয় মানুষের একাংশ তাঁকে মানতে পারেননি।’’ বিজেপি প্রার্থী প্রত্যুষ মণ্ডলও বলেন, ‘‘যত সব অবাস্তব কথা। লোকসভায় আমাদের দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথাই তো বলেছি আমরা।’’

তবে শেষ পর্যন্ত জয় আসায় ইদ্রিশ খুশি। তিনি বলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতে জিতেছি। এর জন্য দলের নেতা-কর্মীরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। উন্নয়নের রাজনীতিই জয় লাভ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement