বিতর্ক: প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচনের এখনও দিন ঘোষণা হয়নি। ঘোষণা হয়নি তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাও। তার আগেই তড়িঘড়ি চণ্ডীতলার হরিপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য গৌতম মণ্ডলের সমর্থনে দেওয়াল লিখন হয়ে গেল!
হরিপুরে লম্বা বুথের (১৭৪ নম্বর) বিভিন্ন দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে আসন্ন ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে গৌতমবাবুর নাম। যা অস্বস্তিতে ফেলেছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। গৌতমবাবুই এ ভাবে প্রচারে নেমেছেন বলে গ্রামবাসী এবং তৃণমূলের একাংশের দাবি। গৌতমবাবু সে কথা স্বীকারও করেছেন। একই সঙ্গে মেনেছেন, তিনি ভুল করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হরিপুরে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে প্রচার করার কথা বলা হয়। ভুল করে দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে।’’
তৃণমূলের হরিপুর অঞ্চল সভাপতি অশোক হাজরা বলেন, ‘‘সকলকে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে। দলের প্রতীক না-পেয়ে কেউ দেওয়াল লিখন করলে তিনি নিজের ইচ্ছেয় করছেন। দল সমর্থন করে না। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’ দলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানান, ইতিমধ্যেই ওখানে দেওয়াল লিখন মুছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার আগে আর কেউ যাতে এমন কিছু না করেন, সে ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
গৌতমবাবু বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের বাদেশোলা উত্তর (১৭৫ নম্বর) বুথের সদস্য। আগের বারেও তিনি ওই বুথ থেকে জিতেছেন। এ বার আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে লম্বা বুথ (১৭৪ নম্বর) থেকে গৌতমবাবু এবং পীযূষ ধামালি নামে আর এক তৃণমূল কর্মীর নাম প্রার্থী হিসেবে ব্লক নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের হরিপুর অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই এ ভাবে প্রচারে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘তৃণমূলে সবাই রাজা!’’