খোশমেজাজে: আদালতে লাল্টু। নিজস্ব চিত্র
মাস চারেক আগে খুন হয়েছিলেন আরামবাগের তৃণমূল নেতা মুক্তার শেখ। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরামবাগের হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এতদিন ‘ফেরার’ ওই অভিযুক্ত সোমবার সকালে আরামবাগ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন।
এ দিন ওই আদালতে লাল্টুর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সংগ্রাম সরকার। তা খারিজ করে আগমী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লাল্টুকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে যাওয়ার পথে লাল্টু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। বলাগড়ে দলীয় বৈঠকে ছিলাম।” তবে, প্রায় চার মাস ধরে ফেরার থাকা প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে এলাকায় ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কৃষি-সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মুক্তারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে দলেরই যুবনেতা লাল্টু ও তাঁর কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে। মুক্তারের বাড়ি মজফ্ফরপুর গ্রাম সংলগ্ন মধুরপুরে ওই ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই নিহতের স্ত্রী সাইনারা বেগম থানায় লাল্টু, তাঁর প্রধান সহযোগী নুরুল হুদা খান-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। নুরুল-সহ জনা পনেরো অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু নাগাল পায়নি লাল্টুর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
লাল্টুর আত্মসমর্পণ নিয়ে হরিণখোলা-১ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি পার্থ হাজারী বলেন, “ওই রকম জঘন্য অপরাধের পর পুলিশের ওঁকে ধরা উচিত ছিল। পরিবর্তে আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ করে দেওয়া হল। এটা এলাকার মানুষ মেনে নেননি।”