দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি।
তারাপীঠ থেকে পুজো দিয়ে গাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বেয়াইয়ের। দু’টি শিশু, তিন মহিলা এবং চালক-সহ ওই গাড়ির বাকি ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে হুগলির ডানকুনির কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ওই গাড়িটি একটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারে। হতাহতেরা সকলেই কসবার হালতুর বাসিন্দা।
মৃতদের নাম বাসুদেব কর্মকার (৬৫) এবং শান্তিরঞ্জন পাল (৬৬)। আহতদের প্রথমে ডানকুনিরই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। রবিবার ছ’জনকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন, ট্রেলারের বাঁ দিক দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছিল গাড়িটি। ট্রেলারটি গতি কমিয়ে দেওয়ায় গাড়িটির চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। তার জেরেই দুর্ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বড় গাড়ি ভাড়া করে বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শান্তিরঞ্জনবাবুরা। গাড়িতে চালক-সহ দুই পরিবারের ১৪ জন ছিলেন। ফেরার জন্য শনিবার দুপুরে তাঁরা তারাপীঠ থেকে রওনা দেন। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে তাঁরা ফিরছিলেন। গাড়ির গতি ভালই ছিল। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সামনে থাকা লোহার তার বোঝাই একটি ট্রেলার কিছুটা গতি কমিয়ে দেয়। বাসুদেববাবুদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না-পেরে ট্রেলারের পিছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের অভিঘাতে গাড়িটির সামনের দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে আতহদের উদ্ধার করে ডানকুনির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানেই বাসুদেববাবু এবং শান্তিরঞ্জনবাবু মারা যান। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ট্রেলারটিকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজ্য জুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচার কর্মসূচি চলছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতেও চলছে পুলিশি নজরদারি। তবু তার মধ্যেও দুর্ঘটনার বিরাম নেই। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা রুখতে তারা তৎপর। শনিবারের দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।