এক লাইনে দুই ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা

ঘোষণা হয়েছিল, আপ বর্ধমান লোকাল আসবে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে। অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে ট্রেনটি ঢুকে পড়ল চার নম্বর লাইনে! চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে তখন দাঁড়িয়ে আপ তারকেশ্বর লোকাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩০
Share:

ঘোষণা হয়েছিল, আপ বর্ধমান লোকাল আসবে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে। অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে ট্রেনটি ঢুকে পড়ল চার নম্বর লাইনে! চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে তখন দাঁড়িয়ে আপ তারকেশ্বর লোকাল। বিপদ বুঝে বর্ধমান লোকালের চালক গাড়ি থামান। দু’টি ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব তখন মাত্র কয়েক ফুটের!

Advertisement

শনিবার রাতে হুগলির শ্রীরামপুরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন দুই লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। তবে, এই ঘটনায় তেতে ওঠে স্টেশন। বর্ধমান লোকালের যাত্রীদের একাংশ চালক এবং গার্ডকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। রেল পুলিশ এবং আরপিএফ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে শ্রীরামপুর স্টেশনের ম্যানেজার নারায়ণ দাস কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তবে, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র এ দিন রাতে জানান, কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ডিভিশনাল সেফটি অফিসার-সহ রেলের পদস্থ কর্তারা। বর্ধমান লোকালের চালক জানিয়েছেন, তিনি সিগন্যাল অমান্য করেননি।

পূর্ব রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে রাত ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়া ৩৭৮৫১ আপ বর্ধমান লোকালটি সাধারণত শ্রীরামপুর স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। কিন্তু এ দিন চলে গেল চার নম্বরে। উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলে তারকেশ্বর লোকাল প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়। তার পরে সেখানে বর্ধমান লোকালটিকে ঢোকানো হয়। ঘণ্টাখানেক সেখানেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

Advertisement

ওই ট্রেনের যাত্রী রবীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘চালকের তৎপরতায় বেঁচে গেলাম। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটত।’’ ওই ট্রেনটি ধরার জন্য তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন চিন্ময় কুমার। তিনি বলেন, ‘‘ট্রেনটি যে হঠাৎ চার নম্বর লাইনে চলে যাবে, বুঝতেই পারিনি। বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement