রাস্তায় পড়ে প্রৌঢ়ার দেহ, সন্দেহ খুনের

রবিবার গভীর রাতে ব্যান্ডেলের সাহাগঞ্জে একটি নির্মীয়মাণ আবাসনের ধার থেকে মল্লিকা দাস (৫০) নামে ওই প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০০:৩৬
Share:

মল্লিকা দাস।

স্বামীর বাড়ি থেকে কাছেই দিদির বাড়ি যাওয়ার পথে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। রবিবার গভীর রাতে ব্যান্ডেলের সাহাগঞ্জে একটি নির্মীয়মাণ আবাসনের ধার থেকে মল্লিকা দাস (৫০) নামে ওই প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কয়েক বছর ধরে সাহাগঞ্জের ঘোষপাড়ায় মেয়ে তুলিকা অধিকারীর কাছে থাকছিলেন। মাঝেমধ্যে সাহাগঞ্জের শিবতলায় স্বামী শৈলেন দাসের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

Advertisement

তবে, এর পিছনে রহস্য রয়েছে বলে মনে করছেন প্রৌঢ়ার বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁর ভাই সোমনাথ সাধুর সন্দেহ, সম্পর্ক ভাল না-থাকায় জামাইবাবু তাঁর দিদির খাবারে কিছু মিশিয়ে খুন করতে পারেন। এ কথা পুলিশকে জানালেও জামাইবাবুর নামে কোনও এফআইআর করেননি সোমনাথ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।

তবে, অভিযোগ উড়িয়ে শৈলেনবাবুর দাবি, ‘‘স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’ যদিও তুলিকা বা মৃতার বাপের বাড়ির কেউ ওই দাবি মানেননি।

Advertisement

শোকার্ত: হাসপাতালে পরিজনরা।

রবিবার রাতে ওই নির্মীয়মাণ আবাসন লাগোয়া এলাকার কিছু লোক দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। মল্লিকাদেবীর ব্যাগটি খোলা অবস্থায় পাশেই পড়েছিল। তা থেকে ব্যাঙ্কের পাশবই-সহ কিছু কাগজপত্রও বেরিয়ে রাস্তায় পড়েছিল। পুলিশ গিয়ে সেখান থেকেই মল্লিকাদেবীর মেয়ের ফোন নম্বর জোগাড় করে খবর দেয়। তুলিকারা ঘটনাস্থলে এসে দেহ শনাক্ত করেন।

মল্লিকাদেবীর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, শৈলেনবাবু আগে সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানায় কাজ করতেন। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সাইকেল সারানোর কাজ শুরু করেন। অভিযোগা, সাংসারিক নানা কারণে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে মল্লিকাদেবী কয়েক বছর ধরে মেয়ের কাছেই থাকছিলেন।

তুলিকা জানান, রবিবার রাত ৭টা নাগাদ তাঁর মা প্রথমে বাবার বাড়িতে যান। সেখান থেকে মাসির বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পৌঁছননি। রাত ১০টার পরে তুলিকা এবং তাঁর মাসি মল্লিকাদেবীকে ফোনে পাননি। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। তার পরে মাঝরাতে পুলিশের ফোন পান তুলিকা। তিনি বলেন, ‘‘সুস্থ মানুষটা রাস্তায় কী ভাবে মারা গেল, পুলিশ যথাযথ তদন্ত করুক।’’ সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক কিছু সম্পত্তি দিদির নামে করে দেওয়া হয়েছিল। তা থেকে দিদির লপরে জামাইবাবুর আক্রোশ জন্মেছিল। সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন
করা প্রয়োজন।’’

—নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন