ভুটভুটি মাঝি মুকুন্দ মান্নাকে বুধবার একপ্রস্থ জেরা করেছিলেন আসামীপক্ষের আইনজীবী ধূর্জটিনারায়ণ পাকড়াশি। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আবেদন করে জানালেন, তিনি অসুস্থ। তাই, সময় দেওয়া হোক। ফলে ফের পিছোল দুর্গাপুরের সুচেতা চক্রবর্তী এবং তাঁর চার বছরের মেয়ে দীপঞ্জনাকে খুনের মামলার শুনানি। আগামী ২১ তারিখ বিচারক শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে ‘প্রেমিকা’ সুচেতা এবং তাঁর চার বছরের মেয়ে দীপাঞ্জনাকে খুন করে প্রমাণ লোপের উদ্দেশ্যে দেহাংশ ব্যাগে ভরেন সমরেশ সরকার। এর পরে ব্যারাকপুর থেকে শেওড়াফুলির মাঝে ভুটভুটি থেকে গঙ্গায় ব্যাগ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সমরেশের বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মামলার শুনানি চলছে শ্রীরামপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাজা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। ভুটভুটি মাঝি (অভিযোগকারী) মুকুন্দবাবুকে জেরা করেছেন সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তবে কখনও হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেওয়া, কখনও মামলার কাগজপত্র হাতে না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে শুনানি স্থগিতের আর্জি জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী। কখনও হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জন্য শুনানি পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বুধবার মাঝিকে একপ্রস্থ জেরা করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী ধূর্জটিবাবু। বৃহস্পতিবারেও জেরা করার কথা ছিল। মুকুন্দবাবুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। সম্প্রতি অসুস্থতার জন্য তিনি সেখানে চলে যান। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তিনি বুধবার শ্রীরামপুরে আসেন। এ দিনও তিনি আদালতে এসেছিলেন। এক আইনজীবী বিচারকের কাছে ধূর্জটিবাবুর তরফে অসুস্থতার আবেদনপত্র জমা দেন।