বয়ানে অসঙ্গতি, গৃহীত হল না অনাস্থার চিঠি

গোঘাট ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মদনমোহন ঘোষ বলেন, “নতুন করে দেওয়া চিঠিটিও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রথম পাঠানো চিঠিতে অনাস্থার সমর্থনকারীদের দলীয় পরিচয় দেওয়া ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে বালি পঞ্চায়েত এলাকার অঞ্চল কমিটির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় নির্দেশ মেনে অঞ্চল কমিটির সভাপতি পদত্যাগ করলেও পঞ্চায়েত প্রধান পদত্যাগ করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে দলের একাংশ। কিন্তু সেই অনাস্থার চিঠির বয়ানে পঞ্চায়েত আইন মানা হয়নি জানিয়ে সেই চিঠি গ্রহণ করল না জেলা প্রশাসন। তবে মঙ্গলবার দুপুরে সেই চিঠির বয়ান শুধরে আবার গোঘাট ১ ব্লক অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গোঘাট ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মদনমোহন ঘোষ বলেন, “নতুন করে দেওয়া চিঠিটিও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রথম পাঠানো চিঠিতে অনাস্থার সমর্থনকারীদের দলীয় পরিচয় দেওয়া ছিল না। তাই সেটি বাতিল হয়েছিল। দ্বিতীয় চিঠিটি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হুগলি জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত প্রধানের গোলমালে প্রায় বছর দুয়েক ধরে বালি পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে সব সদস্যেরা হাজির থাকেন না। ব্লক এবং মহকুমা প্রশাসনের পক্ষে বার দশেক সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। তাই ওই এলাকার অঞ্চল সভাপতি এবং প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারী পদত্যাগ করলেও প্রধান অশোক রায় পদত্যাগ করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনা হয়। ওই পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৩ জন অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠিতে সই করেছিলেন। সেটিই বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয় বার লেখা চিঠিতে সই করেছেন ১৪ জন।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য একেবারে অস্বীকার করেছেন প্রধান অশোক রায়। তাঁর দাবি, “বিধায়ক মানস মজুমদার চান, সরকারি সব সুবিধা শুধু দলের লোকেরাই পান। যাবতীয় টেন্ডার সব দলের লোককেই দিতে হবে। আমি পঞ্চায়েত পরিষেবার ক্ষেত্রে অঞ্চল সভাপতির খবরদারি প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।’’ অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

অভিযোগ অস্বীকার বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “উন্নয়নের ব্যাঘাত বরদাস্ত করবে না দল। দলের শীর্ষস্তরের নির্দেশ মতোই দুই বিবাদমানকেই সরানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন