MGNREGA

ভুয়ো শ্রমিক ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে, অভিযোগ গোঘাটে

ওই পঞ্চায়েতের বদনগঞ্জ গ্রামের ৪ নম্বর সংদসের শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষালের মদতে প্রকল্পের দুই সুপারভাইজার তথা তৃণমূলের গ্রামস্তরের নেতা আকাশ সাঁতরা এবং বিকাশ রায় গত কয়েক বছর ধরেই দুর্নীতি করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৬
Share:

১০০ দিনের কাজ চলছে। গোঘাটের বদনগঞ্জ হাটপুকুরে। —নিজস্ব চিত্র

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাস্টার রোলে ভুয়ো শ্রমিকদের নাম তুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল গোঘাট-২ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বদনগঞ্জ-ফলুই ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং দুই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট সংসদের কিছু শ্রমিক।

Advertisement

ওই পঞ্চায়েতের বদনগঞ্জ গ্রামের ৪ নম্বর সংদসের শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষালের মদতে প্রকল্পের দুই সুপারভাইজার তথা তৃণমূলের গ্রামস্তরের নেতা আকাশ সাঁতরা এবং বিকাশ রায় গত কয়েক বছর ধরেই দুর্নীতি করছেন। ভুয়ো শ্রমিকের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি মাস্টার রোল সামনে আসতে ধরা পড়ে, ২২ জন ভুয়ো শ্রমিকের নামে ১২ থেকে ১৮ দিনের টাকা উঠেছে। দিন কয়েক আগে বিডিওর কাছে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার নথি-সহ গণস্বাক্ষর সংবলিত অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে।

প্রধান লক্ষ্মী মালিক জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসন তদন্ত করছে। বিডিও অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। দুর্নীতির প্রমান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

প্রসেনজিতের দাবি, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি সংশ্লিষ্ট সংসদের সদস্য নই। ১০০ দিনের কাজে উপপ্রধানের কোনও ভূমিকাও নেই। কাজ পরিচালনা করেন সুপারভাইজার। তাঁদের মাথায় থাকেন পঞ্চায়েতের প্রকল্প আধিকারিক। আদৌ দুর্নীতি হয়েছে কী না, হলে কারা করেছে, প্রশাসন তদন্ত করুক।’’ আকাশ বলেন, ‘‘দলেরই একাংশ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মাস্টার রোলে তাঁদেরই নাম রয়েছে, যাঁরা কাজ করেছেন।’’ বিকাশের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ করলেই তো হবে না। প্রমান করুক।’’ ওই সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মীচরণ কাঁড়ি বলেন, ‘‘স্থানীয় স্তরে বিষয়টি দেখা হচ্ছিল। সর্বত্র অভিযোগ করে দলেরই কিছু ছেলে নিজেদের মধ্যে নোংরামো করছে। কেঁচো খুঁজতে কেঁউটে না বেরিয়ে পরে।’’

পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, বদনগঞ্জ গ্রামে হাটপুকুর এবং মহেশপুকুর নামে দু’টি পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয় মার্চ মাসের গোড়া থেকে। সেই কাজেই ভুয়ো শ্রমিকের নাম ঢোকানো

ছাড়াও যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ ওঠে। শ্রমিকরা তা নিয়ে বিক্ষোভও দেখান। দুই সুপারভাইজারকে বরখাস্তের দাবি ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন