গঙ্গায় ঝাঁপ মহিলার, বাঁচালেন ঘাটকর্মীরা

পুলিশ ও ফেরিঘাট সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বছর চল্লিশের ওই মহিলা শ্রীরামপুর থেকে ভুটভুটিতে চাপেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০
Share:

ত্রাতা: সঞ্জীব ও রাজেশ। নিজস্ব চিত্র

ভুটভুটি তখন মাঝগঙ্গায়। হঠাৎ আওয়াজ, ‘ঝাঁপ দিয়েছে, ঝাঁপ দিয়েছে’। মূহূর্তের মধ্যে দু’পাড় থেকে ভুটভুটি নিয়ে সেখানে হন ঘাটকর্মীরা। হাবুডুবু খেতে থাকা মহি‌লাকে টেনে তুলে পাঠানো হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুরের যুগল আঢ্য ফেরি ঘাট এবং ব্যারাকপুরের ধোবী ঘাটের মাঝ থেকে অবশ্য শেষরক্ষা করা গিয়েছে ওই মহিলাকে।

Advertisement

পুলিশ ও ফেরিঘাট সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বছর চল্লিশের ওই মহিলা শ্রীরামপুর থেকে ভুটভুটিতে চাপেন। ভুটভুটি মাঝগঙ্গায় পৌঁছলে লাইফ জ্যাকেট, জুতো এবং মানিব্যাগ খুলে রাখেন। তার পরেই ঝাঁপ দেন। ভুটভুটিতে জনা ত্রিশেক যাত্রী ছিলেন।

শ্রীরামপুরের ঘাটে তখন দায়িত্বে ছিলেন সঞ্জীব বিশ্বাস নামে এক জলসাথী। তিনি জানান, মাঝি আর যাত্রীদের চিৎকার শুনে রাম হালদার নামে এক ঘাটকর্মী ভুটভুটি নিয়ে সেখানে যান। ব্যারাকপুরের দিক থেকে রাজেশ গিরি নামে এক মাঝিও পৌঁছন। রাজেশবাবু বলেন, ‘‘মহিলা তখন হাবুডুবু খাচ্ছেন। আমি ঝাঁপ দিয়ে সহকর্মী এবং যাত্রীদের সাহায্যে মহিলাকে ভুটভুটিতে তুলি।’’

Advertisement

সঞ্জীব বলেন, ‘‘মহিলা অচেতন হয়ে গিয়েছিলেন। ঘাটে তাঁর পেট থেকে জল বের করা হয়। তারপর শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’

শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা শিক্ষিকা। শ্রীরামপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ সিংহ বলেন, ‘‘যে ভাবে সঞ্জীবরা মহিলাকে উদ্ধার করেছেন, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’’ দুপুরে শ্রীরামপুরে ফেরিঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে সঞ্জীব এবং রাজেশ বলছিলেন, ‘‘কেউ সমস্যায় পড়লে ঝাঁপিয়ে তো পড়তেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন