বাড়ির পাশে প্রকাশ্যে চার যুবক-যুবতীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন এক যুবক। সেই ‘অপরাধে’ বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেববাগান এলাকার ওই ঘটনায় নিহতের নাম লালবাবু পাসোয়ান (৩৫)। তিনি বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস চটকলের কর্মী ছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ অবশ্য গ্রেফতার হয়নি। জেলার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে। আশা করছি শীঘ্রই গ্রেফতার করা যাবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই লালবাবুর বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় কিছু যুবক-যুবতী গল্প করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ চার যুবক-যুবতীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে লালবাবু প্রতিবাদ করেন। ওই যুবক-যুবতীরা সেখান থেকে চলে যান। অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ওই যুবকেরা আরও কয়েক জনকে জুটিয়ে লালবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তার পরেই
লালবাবুকে তারা কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। মাটিতে পড়ে গেলে লাথিও মারা হয়। প্রহৃতের স্ত্রী, ভাই আটকানোর চেষ্টা করলে ওই যুবকেরা তাঁদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন চলে লে হামলাকারীরা পালায়। লালবাবুকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের ভাই অজয়প্রসাদ মগরা থানায় স্থানীয় যুবক করণ মাহাতো-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এলাকার কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রণবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘দিনরাত কিছু যুবক-যুবতী পথেঘাটে অভব্য আচরণ করে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। লালবাবু এর প্রতিবাদ করাতেই ছেলেগুলো এমন কাণ্ড ঘটাল। ওদের কঠোর শাস্তি হোক।’’ বিষয়টি নিয়ে আজ, রবিবার এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন বলে কাউন্সিলর জানান। জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা মনে করেন, এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতা দরকার। প্রয়োজনে এ নিয়ে প্রচার করা হবে বলেও তিনি জানান।