বছর দশেকের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার পড়শি এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে খানাকুলের পাতুল গণেশবাজার এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার খাঁ নামে ওই যুবককে ধরা হয়। ওই বালিকার মা পুলিশকে অভিযোগে জানান, রাত ৮টা নাগাদ তিনি মেয়েকে পড়িয়ে জায়ের ঘরে টিভি দেখতে যান। মেয়ে তাঁর ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ চিৎকার শুনে তিনি গিয়ে দেখেন, মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেয়েই তাঁকে রাজকুমারে অত্যাচারের কথা জানায়। পড়শিরা মারধর করে রাজকুমারকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই বালিকাকে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে রবিবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। রাজকুমার এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তবে, খানাকুলের তৃণমূল যুবনেতা শেখ কাজল অভিযুক্তকে দলীয় কর্মী হিসেবে মানেননি।
ওই রাতেই আবার খানাকুলেরই খামারগোড়ি গ্রামে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে মাঠের এক ধারে নিয়ে গিয়ে বছর সাতেকের এক বালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে রাজা মালিক নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলে এলে রাজা পালায়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
গঙ্গায় নিখোঁজ। ঘুড়ি ধরতে গিয়ে গঙ্গায় পড়ে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। রবিবার বিকেলে হুগলির শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ২৯-এর বিক্রমজিৎ রায় নামে ওই যুবকের বাড়ি ছাতুগঞ্জেই। এ দিন বিকেলে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে গঙ্গায় পড়ে ভেসে যান তিনি। রাত পর্যন্ত তাঁর দেহ মেলেনি।