কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাইক আরোহীদের ছোড়া অ্যাসিডে জখম হলেন এক ছাত্রী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর আঘাত খুব গুরুতর নয়। দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী আরামবাগের একটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাকুঁড়ার জয়পুর থেকে তিনি যাতায়াত করেন। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসস্ট্যান্ড পৌঁছনোর জন্য মূল রাস্তা দিয়ে না গিয়ে, শর্টকাট করার জন্য তুলনায় শুনশান মোরাম রাস্তা ধরেন। মৌমিতা জানান, ষষ্ঠীতলার কাছে একটি মোটরবাইকে চেপে চার জন আরোহী হঠাৎই তাঁর সামনে এসে থামে। আরোহীদর কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। শুধু একজনের মুখ কাপড়ে বাঁধা ছিল। ওই যুবকই আচমকা মেয়েটির ডান হাতে একটি বোতল থেকে অ্যাসিড ঢেলে দেয় এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই দলটি চম্পট দেয়।
ওই ছাত্রী বলেন, “কী হয়েছে বুঝতে না পেরে নিজেই প্রথমে পুকুরে হাত ধুই। তার পরেও জ্বালা না কমায় বাড়িতে এবং এক সহপাঠীকে ফোন করে সব জানাই। এতটা আচমকাই সব ঘটে যায় যে দুষ্কৃতীদের মুখ বা গাড়ির নম্বর কোনওটাই ভাল করে লক্ষ্য করতে পারিনি।” তিনি জানান, বাইক আরোহীরা কেউ-ই তাঁর পূর্বপরিচিত নয়। এর পর সহপাঠীর সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ছাত্রী। অ্যাসিডে তাঁর ডান হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে কার্বলিক অ্যাসিড ছোঁড়া হয়েছিল বলে তাঁর ধারণা।
খবর পেয়ে আরামবাগ থানার ওসি অলোকরঞ্জন মুন্সী হাসপাতালে আসেন। পৌঁছে যান ছাত্রীর বাড়ির লোকজনও। ছাত্রীর দাবি, তিনি কারও সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করেননি বা কারও সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কও ছিল না। দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি বলে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ওই ছাত্রী। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন আইসি। ছাত্রীটিকে পরে একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।