কোথায় কী

হাওড়া উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া তুলসীবেড়িয়া মোড়ের মাঠে ৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি, আটদিন ব্যাপী কুলগাছিয়া গ্রামীণ মেলা হয়ে গেল। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, প্রদীপ প্রজ্বলন, বিশিষ্ট অতিথি বরণ ও উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে মঞ্চে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৯
Share:

কুলগাছিয়া গ্রামীণ মেলা

Advertisement

হাওড়া উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া তুলসীবেড়িয়া মোড়ের মাঠে ৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি, আটদিন ব্যাপী কুলগাছিয়া গ্রামীণ মেলা হয়ে গেল। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, প্রদীপ প্রজ্বলন, বিশিষ্ট অতিথি বরণ ও উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে মঞ্চে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়। মেলায় রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক বাংলা গান, নৃত্য, আবৃত্তি, অঙ্কন, ক্যুইজ, শ্রুতি লিখন প্রতিযোগিতায় পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। এ ছাড়া হস্তশিল্প, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পাটের ব্যাগ, পাপোষ, আচার-জ্যাম, জেলি এবং ছিল কৃষিজাত দ্রব্যর প্রদর্শনী। প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, বাউল, আধুনিক ছাড়াও ছবির গান, পুতুল নাচের আসর ছিল জমজমাট। মেলার উদ্যোক্তা ছিল কুলগাছিয়া চক্র কালচারাল সোসাইটি। সমগ্র মেলাটি পরিচালনা করেন কুলগাছিয়া শিল্পী চক্র কালচারাল সোসাইটির সম্পাদক সুবোধ কুমার ঘোষ।

Advertisement

পাঠাগারের সুবর্ণজয়ন্তী

বাগনান গুজরাট ছ’আনিতে শৈলেন্দ্র পাঠাগারের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হল রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি। উদ্যোক্তা পাঠাগারের উৎসব কমিটি। বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি, অতিথিবরণ, উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এর পর ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। যোগ দিয়েছিল ১১৫ জন প্রতিযোগী। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে’র কিছু কথা ও গান নিয়ে গীতি আলেখ্যর অনুষ্ঠানটি ছিল শ্রুতিমধুর। খড়িয়প হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনীত নাটক ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’ দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। পাঠাগারের সদস্যবৃন্দ অভিনীত ‘লাঠি’ নাটকটিও নজর কেড়েছে। পর্দায় মহাকাশ রহস্য পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানটিও ছিল আকর্ষণীয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী ও লোকসংস্কৃতির গবেষক তপন কর, শিক্ষক অজয় মান্না, গ্রন্থাগার-সম্পাদক অমিতাভ সরকার প্রমুখ। বাগনানের স্কুলগুলির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয় অনুষ্ঠানে।

জগৎবল্লভপুরে ক্যুইজ

হাওড়া জগৎবল্লভপুর বাটান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দশম বর্ষ প্রাথমিক রোগের প্রতিবিধান বিষয়ে সিলভার কাপ প্রতিযোগিতা হয়ে গেল গত ৮ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। উদ্যোক্তা ছিল আন্দুল ঝোড়হাট নেতাজি অ্যাম্বুল্যান্স ডিভিশন। প্রতিযোগিতায় জগৎবল্লভপুর, ডোমজুড়, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, সাঁকরাইল, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর এলাকার ২৫টি স্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। প্রতি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও বিশেষ স্থানাধিকারীকে সত্যব্রত সান্যাল স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ, শান্তি কুমার ব্রহ্মচারী স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ, ডাঃ শিশির কুমার ঘোষ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ ও জনার্দন কুণ্ডু চৌধুরী স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শিবির

হাওড়া পাঁচলা রুরাল হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সম্প্রতি গ্রামীণ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল। সাঁকরাইল নাবঘরা গাঁধী ভবনে। অতিথিবরণ এবং উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিবিরে প্রেসার, হার্ট ও শিশুরোগ এবং অন্যান্য রোগ নিরাময় নিয়ে গ্রামীণ চিকিৎসকদের কী ভাবে আরও সচেতন করে তোলা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ শিবিরে সাড়ে তিনশো গ্রামীণ চিকিৎসক যোগ দিয়েছিলেন। শিবিরে ফুলেশ্বর সঞ্জীবনী হাসপাতাল ও হাওড়া ওয়েস্টব্যাঙ্ক হার্ট সেন্টারের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্রীকান্ত প্রামাণিক।

পাঁচলায় যুব সম্মেলন

হাওড়া পাঁচলা বসুবাটি রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারালের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হয়ে গেল ৮ ফেব্রুয়ারি বসুবাটি সারদা সেবী সঙ্ঘের প্রাঙ্গণে। স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, অতিথি বরণ এবং উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর স্বামীজি সম্পর্কে আলোচনা, নারীশিক্ষা, স্বামীজির বাণী পাঠ, গান, আবৃত্তি এবং দর্শকদের নিয়ে ক্যুইজ পর্বটি ছিল আকর্ষণীয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলকাতার গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তত্ত্বাতীতানন্দ।

প্রদশর্নী-আলোচনা উত্তরপাড়ায়

জন সচেতনা বাড়াতে উত্তরপাড়া ফায়ার স্টেশনের উদ্যোগে এক প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই প্রদশর্নী শুরু হবে। প্রদশর্নীতে দমকল কর্মীরা কীভাবে কাজ করেন, কী কী ব্যবস্থা নিলে আগুন লাগার সম্ভবনা কমে, আগুন লাগলে কী করণীয় তা মডেলে তুলে ধরা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement