কামারকুণ্ডুতে উড়ালপুলের কাজ শুরু এ মাসেই

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার কামারকুণ্ডু স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিংয়ের উপর উড়ালপুল তৈরির কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দুর্গাপুজোর মধ্যেই রেল এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা একযোগে জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে, ডানকুনির পরে কামারকুণ্ডুতেও যানজটমুক্তির আশার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কামারকুণ্ডু শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০০:২২
Share:

উড়ালপুলের জায়গা পরিদর্শনে প্রতিনিধিরা।—নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার কামারকুণ্ডু স্টেশন লাগোয়া লেভেল ক্রসিংয়ের উপর উড়ালপুল তৈরির কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দুর্গাপুজোর মধ্যেই রেল এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা একযোগে জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে, ডানকুনির পরে কামারকুণ্ডুতেও যানজটমুক্তির আশার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

কামারকুণ্ডুর ওই লেভেল ক্রসিংয়ে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দুর্ভোগ এড়াতে এখানে উড়ালপুলের দাবি বহু দিনের। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার রেল-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিছু দিন আগে মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু করে পূর্ব রেল।

গত শুক্রবার পূর্ব রেলের ডিআরএম অনির্বাণ দত্ত, সাংসদ অপরূপাদেবী, রাজ্যের মন্ত্রী তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না এখানে আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেল এবং পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের পরে ডিআরএম বলেন, “জমি নিয়ে সমস্যা হবে না। স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়েই উড়ালপুল তৈরির কাজ বাস্তবে রূপ পাবে।” রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “উড়ালপুল তৈরির জন্য লেভেল ক্রসিংয়ের দু’ধারে কিছু দোকানদারকে আপাতত সরে যেতে হবে। উড়ালপুল তৈরি হলে ফের তাঁরা ফিরে আসবেন।” বেচারামবাবু বলেন, “আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। উড়ালপুলটি তৈরি হলে যানজট থেকে মানুষ মুক্তি পাবেন।”

Advertisement

এই লেভেল ক্রসিং বরাবর চলে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটি রোড। এই রাস্তার সঙ্গে দিল্লি রোড এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের যোগ রয়েছে। কিন্তু, কামারকুণ্ডুর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের লেভেল ক্রসিংয়ে উড়ালপুল না থাকায় যানবাহন কার্যত থমকে যায় এখানে এসে। লোকাল ট্রেন ছাড়াও ওই লাইন দিয়ে হাওড়া-দিল্লি এবং শিয়ালদহ-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন চলাচল করে। ফলে, বার বার বন্ধ হয় লেভেল ক্রসিংয়ের গেট। যার জেরে রাস্তার দু’দিকে অজস্র গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমানের সঙ্গে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলির যোগাযোগেরও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ের গেট দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় নাজেহাল হন সাধারণ মানুষ। এই রাস্তা দিয়েই অসংখ্য পূণ্যার্থী হেঁটে বা গাড়িতে তারকেশ্বর মন্দিরে জল ঢালতে যান। চৈত্র এবং শ্রাবণ মাসে পূণ্যার্থীদের চাপে গেট বন্ধ করাই দায় হয়ে দাঁড়ায়। এ বছরই শ্রাবণী মেলার সময় ওই লেভেল ক্রসিংয়ে ভিড়ের চাপে এক মহিলা পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।

কবে উড়ালপুলের কাজ শুরু হবে, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং যানচালকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন