বাজারে মাংসের জোগান বাড়ানো ও একই সঙ্গে ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক ছাগল প্রতিপালন কর্মসূচি নেওয়া হল হুগলি জেলায়। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে জেলার ১৮টি ব্লকের চারটিতে (আরামবাগ, হরিপাল, ধনেখালি এবং চণ্ডীতলা-১) ছোট চাষিদের নিয়ে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে চলতি মাসেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, যাঁরা অন্তত পাঁচটি করে ছাগল প্রতিপালন করেন, ওই চারটি ব্লক থেকে এমন অন্তত ৫০০ জন উপভোক্তা বাছাই করে তিন মাস অন্তর চারটি দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপভোক্তারা ছাগলের ঘর সংস্কারের জন্য ৫০০ টাকা এবং চিকিৎসার জন্য ৩১৪ টাকা করে পাবেন। এ ছাড়াও প্রতিবার প্রশিক্ষণপিছু উপভোক্তাদের ১২৫ টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী অর্থবর্ষে জেলা জুড়ে প্রকল্পটি রূপায়িত করা হবে। ওই দফতরের উপ-অধিকর্তা প্রবীর পাঠক বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ছাগল চাষকে নিবিড় পালন পদ্ধতির মধ্যে আনতে চাইছি। দফতর থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা ও চাষিকে পরামর্শ দেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশি ছাগলের মধ্যে কালো ছাগল (ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট) লাভজনক। এই জাতের ছাগলের মাংস এবং চামড়ার চাহিদা পৃথিবী জুড়ে। পুষতে খরচ কম। ছাগলের খাবার নিয়ে বিশেষ ঝামেলা নেই। বাড়ির মহিলা এবং ছোটরাও সহজে প্রতিপালন করতে পারে। ছাগলের দুধ সহজপাচ্য। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কালো ছাগল প্রতিপালনের জন্য তাদের থাকার স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর। ছাগলের খাবারের ব্যবস্থা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা-সহ নানা বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আরামবাগ ব্লকে প্রশিক্ষণ শুরু হয় ৯ জানুয়ারি। ৫০০ চাষি ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেন বলে বলে ব্লক প্রাণিসম্পদ দফতরের আধিকারিক নরেন কুণ্ডু জানান।