চুঁচুড়ার তালডাঙার নিউকলোনি আনন্দপল্লির বাসিন্দা সঞ্জু হাজরা গত ১৯শে আগষ্ট খুন হন গড়বাটী এলাকার বাসিন্দা তাঁর প্রেমিকা বৈশাখী সাউয়ের বাড়িতে। পুলিশ সূত্রের খবর, সন্দীপ পাসোয়ান নামে বৈশাখীর আর এক প্রেমিক সঞ্জুকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর বৈশাখী সঞ্জুর মৃতদেহ একটি টোটোয় করে চন্দননগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে চলে যায়। এরপর সঞ্জুর বাড়িতে খবর দিয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই রাতেই বৈশাখী, তার স্বামী প্রদীপ সাউ এবং মা-সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। অন্যরা জামিন পেলেও বৈশাখীর জেল হেফাজত হয়। মূল অভিযুক্ত সন্দীপ পাসোয়ান এতদিন পালিয়ে বেড়ালেও শেষ পর্যন্ত সোমবার তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস লুকিয়ে থাকার পর সোমবার ব্যান্ডেল লোকোপাড়া এলাকায় সে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আসে। এলাকার মানুষ আগে থেকেই সন্দীপের নানা সমাজবিরোধী কার্য়কলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। হঠাৎ তাকে ফের এলাকায় দেখে তাদের সন্দেহ হয়। লোকজন তাকে চেপে ধরলে আসল ঘটনা বেরিয়ে পড়ে। এরপর উত্তেজিত জনতা কারে মারধর করে চন্দননগর থানায় খবর দেয়। চন্দননগর থানার ওসি কিশোর সিংহ চৌধুরী গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সন্দীপকে চন্দননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, সন্দীপ চন্দননগরের কাঁটাপুকুর-সানপুকুর ধার এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে চুঁচুড়ায় একটি গণধর্ষণের ঘটনায় সে অভিযুক্ত। জেরায় সে স্বীকার করেছে, তার প্রেমিকার সঙ্গে অন্য যুবকের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই সে সঞ্জুকে খুন করেছে।