এ ভাবেই যাতায়াত। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
পুকুরের নোংরা জল ঢুকে পড়েছে আন্ডারপাসে। এক পাশের পাথরের স্ল্যাব দিয়ে সন্তর্পণে চলছে যাতায়াত। কে আগে যাবেন তা নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। বর্ষার সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখার সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনের আন্ডারপাসে এটিই নিত্যদিনের ছবি।
দ্বিতীয় হুগলি সেতু তৈরি হওয়ার পরে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনের। বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে থামে। এখান থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়েও। সাঁতরাগাছি স্টেশনের পাশেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। এই রাস্তার এক দিক চলে গিয়েছে আন্দুলের দিকে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে কলকাতার রবীন্দ্রসদনে যাওয়া যায়। এই রাস্তা দিয়ে নবান্ন, ধর্মতলা, হাওড়ার মন্দিরতলা, ডুমুরজলা স্টেডিয়াম এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে যাওয়া যায়।
রেল স্টেশনের ছ’নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়েই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। এটি একমুখী রাস্তা। আন্ডারপাসের পাশের সিঁড়ি দিয়ে রাস্তায় উঠে সহজেই শহরতলির বাস ধরা যায়। কিন্তু কলকাতা, হাওড়া বা নবান্নে যেতে গেলে আন্ডারপাস দিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। তা ছাড়া রাস্তার দু’টি লেনের মাঝে রেলিং থাকায় রাস্তা পার হওয়া যায় না। আবার শহরতলি থেকে সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনে আসতে হলেও এই আন্ডারপাসই ব্যবহার করতে হয়। অথচ বর্ষার সময় প্রায় প্রতি দিনই আন্ডারপাসে জল জমে থাকে। প্রতি দিন কয়েক হাজার যাত্রী এই পথ ব্যবহার করেন। দীর্ঘ দিন এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা।
এক নিত্যযাত্রী বলেন, “এক পাশেই কয়েকটি সিমেন্টের স্ল্যাব রয়েছে। দু’দিক থেকেই লোক আসছে। ফলে কে আগে যাবে তা নিয়েও প্রায়ই ঝামেলা হয়। সাঁতরাগাছির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের এই অবস্থা হওয়াটা ঠিক নয়।”
সাঁতরাগাছি স্টেশনের দু’দিকে দু’টি পুকুর রয়েছে। বর্ষায় টিকিট কাউন্টারের দিকের পুকুর থেকে জল উপচে পড়ে। অভিযোগ, এই জলই আন্ডারপাসে জমে। এই জল আসা কোনও ভাবে আটকাতে পারলে আন্ডারপাসে আর জল জমবে না বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের দাবি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “দফতরের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। বর্ষার সময়ে পুকুরের থেকে জল আসা আটকানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না খতিয়ে দেখতে হবে। আশা করছি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”