জলবন্দি স্কুল, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরা

স্কুল খোলা, অথচ ক্লাস করতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। কারণ বৃষ্টি জমা জল না সরায় গোটা স্কুলই জলবন্দি। এই অবস্থায় পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে উলুবেড়িয়া বৃন্দাবনপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই অবস্থা প্রথম নয়। বর্ষাকাল এলেই প্রমাদ গুনতে থাকেন তাঁরা। অদিকাংশ দিনই ছুটি দিয়ে দিতে হয়। স্কুল খোলা থাকলেও হাঁটুজল মাড়িয়ে অধিকাংশ পড়ুয়ারই স্কুলে আসা সম্ভব হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৪
Share:

নিকাশি নেই। বৃষ্টির জল এ ভাবেই জমে থাকে স্কুলচত্বরে।—নিজস্ব চিত্র।

স্কুল খোলা, অথচ ক্লাস করতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। কারণ বৃষ্টি জমা জল না সরায় গোটা স্কুলই জলবন্দি। এই অবস্থায় পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে উলুবেড়িয়া বৃন্দাবনপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

Advertisement

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই অবস্থা প্রথম নয়। বর্ষাকাল এলেই প্রমাদ গুনতে থাকেন তাঁরা। অদিকাংশ দিনই ছুটি দিয়ে দিতে হয়। স্কুল খোলা থাকলেও হাঁটুজল মাড়িয়ে অধিকাংশ পড়ুয়ারই স্কুলে আসা সম্ভব হয় না। অভিভাবকদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এমন সমস্যা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত তথা প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে এলেও পড়ুয়ারা না আসায় তাঁদেরও কিছু করার থাকে না। তাঁরাও কিছুক্ষণ স্কুলে বসে বাড়ি চলে যান। কারণ দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। রফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, “আমরা একাধিকবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বলেছি। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এ ভাবে পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।” সমস্যার কথা স্বীকার করে অনিতা দলুই নামে এক শিক্ষিকা বলেন, “স্কুলে মোট ৬৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৬ জন। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্য ভারী বৃষ্টি হলেই স্কুলচত্বর জলে ডুবে যায়।” বার বার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পঞ্চায়েতে প্রধান ববিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা ওই জায়গাটা মাটি ফেলে উঁচু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জল যাতে না জমতে পারে সে জন্য নিকাশি নালা তৈরির পরিকল্পনাও হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement