তোলাবাজির জেরে যানজট, ধৃত ৩ পুলিশ

যানজট ধরিয়ে দিল তিন পুলিশকর্মীকে। বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বই রোডে (এনএইচ-৬) ট্রাকচালকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করার অভিযোগে ধরা পড়লেন হাওড়ার সাঁকরাইল থানার তিন পুলিশকর্মী। হাওড়ার ধূলাগড়ি টোল-প্লাজার কাছে সম্প্রতি যানজটে আটকেছিলেন রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁর কানে আসে, টহলদারি করার নামে পুলিশের একাংশ ট্রাক আটকে তোলা আদায় করাতেই ওই যানজট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:০২
Share:

যানজট ধরিয়ে দিল তিন পুলিশকর্মীকে। বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বই রোডে (এনএইচ-৬) ট্রাকচালকদের কাছ থেকে তোলা আদায় করার অভিযোগে ধরা পড়লেন হাওড়ার সাঁকরাইল থানার তিন পুলিশকর্মী।

Advertisement

হাওড়ার ধূলাগড়ি টোল-প্লাজার কাছে সম্প্রতি যানজটে আটকেছিলেন রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁর কানে আসে, টহলদারি করার নামে পুলিশের একাংশ ট্রাক আটকে তোলা আদায় করাতেই ওই যানজট। খবর যায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায়। দুর্নীতিদমন শাখা সূত্রের খবর, ধৃতেরা হলেন সাঁকরাইল থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর সুমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং কনস্টেবল দুর্যোধন মালিক ও সুকান্ত পুরকাইত।

ট্রাকচালকের কাছ থেকে পুলিশকর্মীদের একাংশ তোলা আদায় করেন, এমন অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু ধূলাগড়িতে এই তোলা আদায়ের জন্য নিয়মিত যানজট হচ্ছিল বলে দুর্নীতিদমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, রাত ৯টার পরে টহলদারির নামে থানা থেকে বেরিয়ে, টোল-প্লাজা থেকে একটু দূরে হাওড়া সদরের দিকে হাত দেখিয়ে অভিযুক্তেরা ট্রাক দাঁড় করাতেন বলে খবর ছিল। অভিযোগ, বেছে বেছে মাছ, ফল, সব্জির মতো পচনশীল জিনিসের ট্রাক আটকানো হতো। কখনও ট্রাকে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি মাল রয়েছে, কখনও কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছেএমনই নানা অজুহাতে টাকা চাওয়া হতো। টাকা না দিলে দীর্ঘক্ষণ ট্রাক আটকে রাখা-সহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ।

Advertisement

দুর্নীতিদমন শাখা এ ব্যপারে মুখ খোলেনি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গাড়িতে পচনশীল জিনিস থাকায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে রফা করে নিতে চাইতেন চালকেরা। সেই সুবাদেই চলত তোলাবাজি। তবে ট্রাক আটকে চালককে তোলা দিতে বাধ্য করতে সময় লাগতো। সে জন্য একের পরে এক ট্রাক জমে

জাতীয় সড়কে যানজট হচ্ছিল।” শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতদের ১৪ অগস্ট পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ভরতএল মিনা বলেন, “ওই তিনি পুলিশকর্মীর ধরা পড়া নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে জাতীয় সড়কে পুলিশকর্মীদের এ ধরনের তোলাবাজি বন্ধ করতে নজরদারিতে আরও কড়াকড়ি করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন