জানলার একপাশে পড়ে আছে খোলা গ্রিল।—নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে ঢুকে জানলার গ্রিল খুলে সোনাদানা, নগদ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন পঞ্চায়েতের মারসিট গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মারসিট পাঁচপাড়ায় নিরঞ্জন খাঁ’র দোতলা বাড়ি। সোমবার পরিবারের সবাই ত্রিবেণিতে বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। রাতে সেখানেই থেকে যান তাঁরা। পরিবারের তরফে অভিযোগ, রাতে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে গ্রিল এবং দরজার তালা ভেঙে বারান্দায় ঢোকে। তার পর জানলার রড বেঁকিয়ে ঘরে ঢোকে। আলমারির তালা ভেঙে সেখান থেকে বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না এবং টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়। দোতলায় ওঠার মুখে কোলাপসিবল গেট রয়েছে। সেটির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকলেও ঘরে তালা থাকায় তা ভাঙতে না পেরে জানলার গ্রিল উপড়ে ফেলে ঘরে ঢোকে। নিরঞ্জনবাবু সংবাদপত্র বিক্রির এজেন্ট। তাঁর দাবি, দোতলার ঘরে একটি ব্যাগে ব্যবসার জন্য নগদ ৬২ হাজার টাকা ছিল। ব্যাগসুদ্ধ টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘরের আলমারি ভেঙেও লুঠপাট চালিয়েছে।
এ দিন সকালে পড়শিরা দরজার তালা ভাঙা দেখে নিরঞ্জনবাবুদের খবর দেন। তাঁরা এসে দেখেন, ঘরদোর লন্ডভন্ড। সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডুয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগও দায়ের করে ওই পরিবার।
তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, যে কায়দায় লুঠপাট চালানো হয়েছে, তাতে দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ভারী ছিল। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি লোহার ডান্ডা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই লোহার ডান্ডা দিয়েই তালা বা জানলার গ্রিল ভাঙা হয়। দুষ্কৃতীদের মধ্যে পরিবারের চেনাশোনা কেউ ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেননা, ওই দিন তাঁরা যে বাড়িতে থাকবেন না, সেই খবর দুষ্কৃতীরা কি করে জানল তার তদন্ত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।