গাছ কাটা নিয়ে একটি মামলাকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে গোঘাট-২ ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের দলীয় মহিলা প্রধানকে দলবল নিয়ে মারধর এবং তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ওই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফরিদ খানের বিরুদ্ধে। প্রহৃত হন উপপ্রধানও। শনিবার ওই ঘটনার পরে প্রধান এবং উপপ্রধানকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ জানায়, প্রধান এবং উপপ্রধানের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’জনকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদ।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে ফরিদ ও তার দলবলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের লাগানো গাছ অবৈধ ভাবে কেটে বিক্রির অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তার পর থেকেই দু’পক্ষের গোলমাল চলছিল। শনিবার পঞ্চায়েত এলাকার জনস্বাস্থ্য নিয়ে একটি বৈঠক চলছিল। বৈঠকে হাজির ছিলেন ফরিদও। অভিযোগ, বৈঠকের এক ফাঁকে ফরিদ দলবল নিয়ে প্রধানের ঘরে ঢুকে ওই হামলা চালান। ঘরে ছিলেন উপপ্রধানও। চেঁচামেচি শুনে অন্য সদস্যেরা চলে এলে ফরিদরা চলে যান।
প্রধান বলেন, “ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলে ফরিদের লোকজন হামলা করল। চেয়ার থেকে চুলের মুঠি ধরে নামিয়ে আমাকে মারে। শ্লীলতাহানি করে। আমার কানের দুলও ছিনিয়ে নেয়। কান ছিঁড়ে যায়।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদ। তাঁর দাবি, “১০০ দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্পে দুর্নীতি চলছে ওই পঞ্চায়েতে। প্রধানকে ঘুষ না দিলে কাজের অনুমোদন মিলছে না। এ সবের প্রতিবাদে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেউ তাঁদের মারধর করেনি।”
এই কোন্দলের কথা কানে গিয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনাটির তদন্তের জন্য দলের জেলা যুব সভাপতি দিলীপ যাদব এবং আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরাকে দায়িত্ব দিয়েছি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দল কড়া পদক্ষেপ নেবে।”