দুমাস ধরে সাঁকরাইল ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় তীব্র পানীয় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নলকূপের সংখ্যা কম থাকায় ওই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এলাকায় পাঁচটি পাম্প হাউসের মধ্যে একটি দু’মাস ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্য একটি পাম্প হাউসের উপর বেশি চাপ পড়ার ফলে সেটির কার্যকারিতা এখন কমে গিয়েছে, এমনটাই দাবি পাম্প হাউসের কর্মীদের। তাই এলাকার মানুষকে তীব্র জলসঙ্কটে দিন কাটাতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছেন। মধ্য ঝোড়হাটের এক বাসিন্দা ত্রিপুরারি ঘোষ বলেন, “এই অবস্থায় আমরা নানা রোগ-জীবাণুর আশঙ্কায় আতঙ্কিত। দ্রুত নলবাহিত জলের সমস্যার সমাধান করুক জনস্বার্থ কারিগরি দফতর।”
সাঁকরাইলের বাণীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, দক্ষিণ সাঁকরাইল, মাসিলা, ঝোড়হাট, দুইল্যা প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্রায় সারা বছরই জলের সমস্যা থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কিন্তু এখন তা্ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে আগে দিনে তিনবার করে জল সরবরাহ করা হত। সেখানে এখন দিনে মাত্র একবার জল সরবরাহ হয়ে থাকে। তাও আবার বেশিক্ষণের জন্য নয়। ফলে এলাকার জলের ট্যাপ কলের সামনে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘলাইন।
সাঁকরাইল ব্লকের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পাঁচটি পাস্প হাউস রয়েছে। এর মধ্যে বাদামতলা, শীতলতলা, সাঁকরাইল জমিদার বাড়ির কাছে, রাজবংশীপাড়া এবং অন্নপূর্ণা মন্দিরের কাছে আরও দুটি পাম্প হাউস রয়েছে। এই পাম্প হাউসগুলি থেকে গড়ে ২০ হাজার গ্যালন করে এক লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাদামতলার পাম্প হাউসটির টিউবওয়েল খারাপ হয়ে যাওয়ায় এখান থেকে জল উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ। তার জন্য শীতলাতলা পাম্প হাউস থেকে জল তোলা হচ্ছিল। কিন্তু কিছু দিন ধরে সেটিতেও সমস্যা শুরু হয়। কর্মীদের দাবি লো-ভোল্টেজ হওয়ার কারণে ওই পাম্পটিও আর সে ভাবে কাজ করছে না।
সাঁকরাইল ব্লকের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত কোলে বলেন, “ট্রান্সফরমারে সমস্যা হয়েছে। আমরা স্থানীয় বাণীপুর ২ পঞ্চায়েতকে ও সিএসসিকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। সিএসসি থেকে পাম্প হাউস পরিদর্শনও করে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। আশা করি তার পর আর জলের সমস্যা থাকবে না।”