প্রতিবাদের জেরে আবর্জনা সাফ, ফের চালু হল বাস

প্রায় দু’দিন ধরে বাস চালানো বন্ধ রেখে বাসকর্মীদের প্রতিবাদের জেরে সাফ হল রিষড়া বাসস্ট্যান্ডের পিছনের আবর্জনা। মঙ্গলবার থেকে ফের রিষড়া স্টেশন-চুঁচুড়া ২ নম্বর রুটের বাস চলাচল শুরু হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০১:০৮
Share:

যে অবস্থায় ছিল বাসস্ট্যান্ড।—নিজস্ব চিত্র।

প্রায় দু’দিন ধরে বাস চালানো বন্ধ রেখে বাসকর্মীদের প্রতিবাদের জেরে সাফ হল রিষড়া বাসস্ট্যান্ডের পিছনের আবর্জনা। মঙ্গলবার থেকে ফের রিষড়া স্টেশন-চুঁচুড়া ২ নম্বর রুটের বাস চলাচল শুরু হল।

Advertisement

বৃষ্টিতে কাদা জমছিল রিষড়া বাসস্ট্যান্ডে। পিছনের আবর্জনার পাহাড়ও সরানো হয়নি। সেই আবর্জনা চলে আসছিল বাসস্ট্যান্ডেও। এরই প্রতিবাদে রবিবার বিকেল থেকে রিষড়া স্টেশন-চুঁচুড়া ২ নম্বর রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন তিতিবিরক্ত কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বহু আবেদন-নিবেদনেও পুরসভা কণর্র্পাত করেনি। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তি হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। মঙ্গলবার আবর্জনা সাফ হলেও, যে ভাবে তা হয়েছে, তাতে ফের বৃষ্টিতে নোংরা বাসস্ট্যােন্ডে চলে আসবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকাতেই ওই বাসস্ট্যান্ডের পিছনে আবর্জনা ফেলার কথা মেনে নিয়ে রিষড়ার পুরপ্রধান শঙ্করপ্রসাদ সাউ বলেন, ‘‘বাস বন্ধের কথা জানি না। তবে, অনেক বাস স্ট্যান্ডের বাইরেও দাঁড়ায়। আবর্জনা সরানোর কাজ চলছে।’’ দীর্ঘাঙ্গিতে ছ’টি পুরসভার সম্মিলিত কঠিন বর্জ্য প্রতিস্থাপন প্রকল্প চালু হলে সমস্যা মিটবে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।

Advertisement

বছর দশেক আগে রিষড়া স্টেশনের পূর্ব দিকে বাসস্ট্যান্ডটি গড়ে ওঠে। রিষড়া-চুঁচুড়া ছাড়াও রিষড়া-হাওড়া ৫৪/২ রুটের বাস ওই স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ে। স্ট্যান্ডের পাশেই পুরসভা যাবতীয় বর্জ্য ফেলে। ফলে, সেখানে আবর্জনার পাহাড় জমছে। দিনের বেশির ভাগ সময় চত্বরটি মানুষের ভিড়ে সরগরম থাকে। পাশে জনবসতিও রয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নিত্যযাত্রী--- সকলেই তিতিবিরক্ত।

বাসকর্মীরা জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাশের পুকুর উপছে, আবর্জনা এবং নোংরা জল বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে, যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে ঢুকতে পারছেন না। দুর্গন্ধে বাসের কেউই সেখানে থাকতে পারছেন না। হুগলি জেলা বাস-মালিক সংগঠন এবং ২ নম্বর বাস-মালিক সংগঠনের কর্মকর্তা দেবব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘এর আগেও আমরা বাস বন্ধ রেখেছিলাম একই কারণে। কিন্তু আমাদের আবেদন-নিবেদনে পুর-কর্তৃপক্ষ কানই দেন না। বাসস্ট্যান্ডের যা পরিস্থিতি, সেখান থেকে বাস ছাড়া কার্যত অসম্ভব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement