নিয়ম ভেঙে ট্রেকারে যাত্রী তোলা বন্ধের দাবিতে দু’দিন আগেই বাসে যাত্রী পরিবহণ বয়কট করেছিলেন শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস-মালিকেরা। এ বার বিভিন্ন রুটে নিয়ম-ভাঙা গাড়ির বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর দাবিতে আগামী সোমবার গোটা জেলাতেই ধর্মঘটের ডাক দিলেন বাস মালিকেরা। ফলে, সপ্তাহের প্রথম দিনই ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার হুগলি জেলা বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা চুঁচুড়ায় বৈঠকে বসেন। সেখানেই বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা বাস-মিনিবাস সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, “দিনের পর দিন আমরা প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছি। কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত। এর পরেও যদি অন্য গাড়িতে বেআইনি যাত্রী পরিবহণ বন্ধ না করা হয়, তা হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব।” জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সৈকত দাস অবশ্য বলেন, “বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু ওঁরা এ ভাবে ধর্মঘট করলে এই প্রক্রিয়া তো ধাক্কা খাবে। সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করা হবে।” জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, “ধর্মঘটকে আন্দোলনের একমাত্র মাধ্যম বলে ওঁরা মনে করলে প্রয়োজনে বাসের পারমিট বদলের কথাও ভাবতে হবে আমাদের।”
বাস-মালিকরা জানান, হুগলিতে ৪৫টি বাস-রুট রয়েছে। বাস, মিনিবাস, দূরপাল্লার বাসের মিলিত সংখ্যা প্রায় এক হাজার দু’শো। বাস-মালিকদের অভিযোগ, প্রায় সব রুটেই বেআইনি ভাবে চলা গাড়ির দাপটে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কোথাও ট্রেকারে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। কোথাও রুট ভেঙে অটো চলছে। কোথাও অটোর মতোই এক ধরনের গাড়ি বা মোটরভ্যান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়ে টোটো। প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে, আখেরে পরিবহণ শিল্প ধাক্কা খাচ্ছে। সম্প্রতি ভাড়া বাড়লেও এবং জ্বালানির খরচ কিছুটা কমলেও সেই ভাবে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা। এতে বাস মালিকদের পাশাপাশি কর্মীদের পরিবারও বিপাকে পড়ছে।
দেহ উদ্ধার। বছর পঁয়ত্রিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ মিলল হাওড়ার বীরশিবপুরে মুম্বই রোডের পাশের একটি নয়ানজুলি থেকে। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, পথ দুর্ঘটনায় কোনও ভাবে মারা গিয়েছেন ওই মহিলা। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।