বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে শনিবার দুপুর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়াল বাগনানের চালিধাউড়িয়া এলাকায়। জখম হন এক মহিলা-সহ সাত জন। তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে চালিধাউড়িয়ায় পাশাপাশি দু’টি শ্মশানে দু’টি মৃতদেহ সত্কার হচ্ছিল। একটি পরিবারের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা। অন্য পরিবারটির সঙ্গে ছিলেন কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। যাঁরা স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য। বিজেপির অভিযোগ, তাদের ক্লাব এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি মন্দির নিয়ে কটূক্তি করেন তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদ করায় বুুদ্ধ দেব নামে তাঁদের এক সদস্যকে তৃণমূল নেতা বিমল মাইতি ঘুষি মারেন। এর পরেই দু’পক্ষের মারামারি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা বিমলবাবুকে মারধর করেন বলে পাল্টা অভিযোগও ওঠে। পরে অনেকের হস্তক্ষেপে গোলমাল তখনকার মতো মিটলেও রবিবার সকালে বাজারে তা ফের শুরু হয়।
অভিযোগ, বিজেপি সমর্থক স্মরজিত্ সাঁতরাকে বাজারে একা পেয়ে বিমলবাবুর দলবল বাঁশ নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়। স্মরজিতের মাথা ফাটে। এ থেকে ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। জখম হন বিজেপি সমর্থক অভিজিত্ মাইতি, সঞ্জয় রায়চৌধুরী এবং তৃণমূল নেতা বিমলবাবু, তাঁর স্ত্রী নিরুপমা (সাবসিট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূূল সদস্য) এবং বিমলবাবুর দাদা শ্যামল। শ্যামলবাবু, শ্মরজিত্ এবং নিরুপমাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিজেপি-র পক্ষে বুদ্ধ দেবের অভিযোগ, “দাহকাজের সময়ে ওরা আমাদের ক্লাব ও মন্দির ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় আমাকে বিমলবাবু মারেন। এর পরেই আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করে। ওরা আমাদের ক্লাব দখলের চেষ্টা করছে।” অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিমলবাবুর দাবি, শনিবার ঘটনার সময়ে তিনি প্রথমে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁর দাদার সঙ্গে গোলমাল হয়। তা মেটাতে গিয়ে তিনি প্রহৃত হন। তাঁর আরও দাবি, “দাদা ক্লাব বা মন্দির সম্পর্কে কিছু বলেনি। শ্মশান সম্পর্কে কথা হয়। রবিবার ওরাই আমাদের উপরে চড়াও হয়। আমাদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে।”