এমনই অবস্থা হাওড়া স্টেশনের বাসস্ট্যান্ডের। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ব্যস্ত সময়। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। ভাঙা রাস্তা দিয়ে কোনওক্রমে যাত্রীরা অটো বা বাসের জন্য ছুটছেন। জমা নোংরা জলে গাড়ির চাকা পড়ে ছিটকে এসে যাত্রীদের ভিজিয়ে দিচ্ছে। তাড়াহুড়োর পড়েও যাচ্ছেন কেউ কেউ। ছবিটি হাওড়া স্টেশনের কাছের বাসস্ট্যান্ডের। যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওই বাসস্ট্যান্ড-সহ গোটা এলাকার সংস্কারের কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে।” হাওড়া পুরসভাও জানিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাওড়া স্টেশনের কাছে একটি কলকাতার ও একটি হাওড়ার মোট দু’টি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। বাস ছাড়া, অটো, ট্যাক্সিও মেলে। এই স্ট্যান্ডের দেখভালের দায়িত্ব কেএমডিএ-র। কেএমডিএ সূত্রে খবর, বছর সাতেক আগে রাস্তাটি সারানো হয়েছিল। কিন্তু ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এই হাল। কেএমডিএ-র এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “মূলত আর্থিক সমস্যার কাজ হয়নি। পরে হাওড়া পুরসভা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আর সারানো কাজ করা হয়নি।”
দিনের প্রায় সব সময়ই যাত্রীদের ভিড় থাকলেও তাঁদের অপেক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ছাউনি নেই। পুরো রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে কংক্রিটের আস্তরণ। একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। ঝুঁকি নিয়ে অটো চলাচল করে। এক অটো চালক বলেন, “বাসস্ট্যান্ড থেকে সালকিয়ার দিকে যাওয়ার সময়ে একটি জায়গায় রাস্তা এমন ভাবে ভেঙে গিয়েছে যে একটু অসাবধান হলেই অটো উল্টে যেতে পারে।”
হাওড়া পুরসভার ডেপুটি মেয়র তৃণমূলের মিনতি অধিকারী বলেন, “এই চত্বরকে বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। বহুতল স্ট্যান্ডে অটো, ট্যাক্সি, বাসের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।” তিনি জানান, কেএমডিএ, এইচআইটি, পুরসভা ও পূর্ব রেল এক যোগে কাজ করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত একটু সমস্যা হবে।