বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে শুক্রবার তারকেশ্বরের বালিগোড়ির এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার পরেই মলয় মজুমদার নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তিনি তৃণমূলের স্থানীয় বুথ কমিটির সভাপতি ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মলয়বাবু ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক ছিলেন।
বালিগোড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের রবি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনেই মাস খানেক আগে ওঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আমরা দু’পক্ষের মধ্যে মিটমাটের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও রকম লাভ হয়নি। মলয় কথা দিয়েও তাঁর প্রতিশ্রুতি রাখেননি।”
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তারকেশ্বরের বালিগোড়ি এলাকার বাসিন্দা তরুণী এখন বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মলয় মজুমদার তাঁদেরই প্রতিবেশী। ছোট বেলা থেকে অভিযোগকারিণী তাঁর কাছে পড়তেন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, বছর কয়েক আগে বাড়িতে পড়তে গেলে মাস্টারমশাই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এর পরে প্রায়ই তাঁকে ধর্ষণ করতেন। মাস দু’য়েক আগে তিনি মলয়কে বিয়ের কথা বলেন। তখনও মলয় বিয়েতে সম্মত হন। এর পরে তারকেশ্বর মন্দিরের কাছে একটি লজে নিয়ে গিয়ে সহবাস করেন। পরে ওই তরুণী বাড়িতে ঘটনার কথা খুলে বলেন।
তরুণীর পরিবারের দাবি, মেয়ের মুখে সব শুনে তাঁরা মলয়ের বাড়িতে যান। তাঁর বাড়ির লোকেরা বলেন, মাস খানেকের মধ্যেই তাঁরা বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। আশ্বাস দিয়েও পরে মলয় বা তাঁর বাড়ির লোকেরা বিয়েতে অসম্মতি জানান। এর পরে মেয়েটির পরিবার গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হন। তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবার এলাকার দলীয় নেতারা বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও মলয় বিয়েতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ওই তরুণী পুলিশে যান। তরুণীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা এ দিন জানিয়েছেন, আজ, শনিবার ধৃতকে আদালতে পাঠানো হবে। আজ আদালতে অভিযোগকারিণী জবানবন্দিও দেবেন। পরে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হবে।