ছাত্রী ভর্তিতে অনিয়ম হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার খানাকুল-২ ব্লকের রাজহাটি জ্ঞানদা বালিকা বিদ্যালয়ে লোকজন নিয়ে ঢুকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা রাজহাটি-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রূপসনাতন দে। ভর্তিতে আপত্তি তুলে স্কুলের সভাপতি মহম্মদ নূরে নাজার এবং সম্পাদক অলোক শাসমলকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই উপপ্রধান এবং তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। সম্পাদক ও সভাপতি দু’জনেই তৃণূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। মারধরের অভিযোগ মানেননি অভিযুক্ত উপপ্রধান। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুলে ভর্তির কথা থাকলেও রসিদ-বই না থাকায় তা পিছিয়ে আগামী মঙ্গলবার করা হয়। কিন্তু শুক্রবারই অনেক অভিভাবক চলে আসেন। তাঁরা সে দিনই ভর্তির দাবি তোলেন। সেই দাবিমতো একটি খাতায় ভর্তির টাকার অঙ্ক লিখে রাখা হচ্ছিল। মঙ্গলবার রসিদ দেওয়ার কথাও জানানো হয়। কিন্তু দুপুর দেড়টা নাগাদ রূপসনাতনবাবুর নেতৃত্বে জনা পনেরো যুবক সেখানে চড়াও হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলে সকলের সামনে সম্পাদক ও সভাপতিকে মারধর করেন এবং তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অনিতা ভৌমিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সভাপতি মহম্মদ নূরে নাজার বলেন, “ওরা কোনও কথাই শুনতে চায়নি। মারধরের পরে ভর্তির টাকাও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।” একই বক্তব্য সম্পাদকেরও। অভিযোগ উড়িয়ে রূপসনাতনবাবুর দাবি, “স্কুল পরিচালন সমিতির গাফিলতিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল অবনতির দিকে যাচ্ছে। রসিদ ছাড়া ভর্তির খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ করি। কাউকে মারধর করা হয়নি।”