দাবিমতো মদের টাকা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার নিউ পার্কের কাছে বেধড়ক পেটানো হল এক টোটো-চালককে। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটি। গুরুতর জখম অবস্থায় আবতাব আলম নামে ওই টোটো-চালককে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে প্রায় ৪০ মিনিট ত্রিবেণী-শিবপুর মোড় অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আবতাবের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে, হামলাকারীদের চিনতে পারেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন আবতাব। চিকিৎসকেরা জানান, আবতাবের মুখে এবং বুকে আঘাত লেগেছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহতের কাছ থেকে হামলাকারীদের বিবরণ জেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশবেড়িয়ার কলবাজার এলাকার মিল কলোনির বাসিন্দা আবতাব গ্যাঞ্জেস জুটমিলের ‘তাঁতঘর’ বিভাগের স্থায়ী শ্রমিক। তিনি মিলের কাজের অবসরে শিবপুর-ত্রিবেণী মনসাতলা রুটে টোটো চালান। বৃহস্পতিবার বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা ছিল। আবতাব বিকেলের দিকে টোটো নিয়ে বেরোন। রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে নিউ পার্কের কাছে চার যুবক তাঁর গাড়ি থামায়। অভিযোগ, মদ খাওয়ার জন্য ওই যুবকেরা ২০০ টাকা দাবি করে। অত টাকা দিতে অস্বীকার করায় আবতাবকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়।
নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকায় আবতাব সেখানেই পড়ে ছিলেন। ভিতরের দিকে হওয়ায় রাস্তাটি নির্জন ছিল। বাড়িতে ফোন করে তিনি নিজেই খবর দেন। পরিবারের লোকজন এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শুক্রবার হাসপাতালে শুয়ে আবতাব বলেন, “রাস্তায় আলো কম থাকায় হামলাকারীদের চিনতে পারিনি। তবে, ওরা চার জন ছিল। আমি দু’শোর বদলে কিছু টাকা দেব বলেছিলাম। ওরা শোনেনি। মারের চোটে আমি জ্ঞান হারিয়ে কিছু ক্ষণ রাস্তাতেই পড়ে ছিলাম। জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে ফোন করি।”