যুবক খুনে অধরা অভিযুক্তেরা, প্রতিবাদে অবরোধ

বৈদ্যবাটিতে যুবক খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এর প্রতিবাদে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রায় দেড় ঘণ্টা জি টি রোড অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ। রবিবার দুপুরে শ্রীরামপুর থানা এলাকার বৈদ্যবাটির জি টি রোড লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠের গ্যালারিতে নার্সারি রোডের বাসিন্দা অজিত দাস (৩২) নামে ওই যুবককে গুলি করে খুন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৪
Share:

অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে জিটি রোড অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।

বৈদ্যবাটিতে যুবক খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এর প্রতিবাদে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রায় দেড় ঘণ্টা জি টি রোড অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ।

Advertisement

রবিবার দুপুরে শ্রীরামপুর থানা এলাকার বৈদ্যবাটির জি টি রোড লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠের গ্যালারিতে নার্সারি রোডের বাসিন্দা অজিত দাস (৩২) নামে ওই যুবককে গুলি করে খুন করা হয়। তিনি রুমাল সেলাইয়ের কাজ করতেন। নিহতের দাদা অসিত পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানান, গণেশ গিরি নামে স্থানীয় এক যুবক ওই দুপুরে তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আরও দু’জনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুন করে। তবে, খুনের কারণ নিয়ে এখনও অন্ধকারে নিহতের পরিবারের লোকজন। পুলিশও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। গণেশ অধরা।

দিন দশেক আগেই শ্রীরামপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছিল বছর সতেরোর এক তরুণকে। তার পরে রবিবার ফের একই থানা এলাকায় দিনে-দুপুরে ওই যুবককে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ময়না-তদন্তের পরে এ দিন অজিতের দেহ নিয়ে দুপুর তিনটে থেকে বৈদ্যবাটি-চৌমাথায় জি টি রোড অবরোধ করেন ওই যুবকের পাড়া-পড়শিরা। অবরোধের জেরে জি টি রোড ছাড়াও যানবাহন থমকে যায় সংলগ্ন দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তাতেও। বিক্ষোভকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গণেশ গিরিকে গ্রেফতারের দাবি তুলে এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত আশ্বাস চান। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত দাস ঘটনাস্থলে গেলেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হননি। শেষ পর্যন্ত শ্রীরামপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, অভিযুক্তদের ধরার জন্য জোর তল্লাশি চলছে। তারা পলাতক।

Advertisement

নিহতের জেঠতুতো দাদা শ্যামল বলেন, “গণেশের সঙ্গে অজিতের মেলামেশা কয়েক দিনের। গণেশ কোনও গাড়ি কেনার কথা বলে ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল রবিবার সকালে। এর বেশি কিছু জানি না। কেন খুন করল বলতে পারব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement