রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একটি বাড়ির গাছের পেয়ারা কুড়োনোর ‘অপরাধে’ কাস্তের কোপে জখম হল বছর দশেকের এক বালক। রবিবার দুপুরে হুগলির উত্তরপাড়ার কোতরংয়ের অরবিন্দ পল্লির ঘটনা। পঙ্কজ দাস নামে ওই বালককে কোপ মারার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তমাল সাহা নামে ওই বাড়ির এক যুবককে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পঙ্কজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র পঙ্কজের বাড়ি কোতরং বিধান পল্লিতে। এ দিন বেলা পৌনে ১টা নাগাদ বাড়ির অদূরে অরবিন্দ পল্লির একটি পুকুরে সে দাদা আকাশের সঙ্গে স্নান করতে যাচ্ছিল। পুকুরের কিছুটা আগে রাস্তার ধারে তমালদের বাড়ি। তাঁদের বাড়ির সামনে একটি পেয়ারা গাছ রয়েছে। গাছটি রাস্তার দিকে কিছুটা ঝুঁকে থাকে। গাছের নীচে রাস্তার নর্দমার পাশে পড়ে থাকা পেয়ারাটি দেখতে পেয়ে পঙ্কজ কুড়োতে যায়। অভিযোগ, সেই সময় নিজের বাড়ির উঠোনে কাস্তে হাতে কোনও কাজ করছিলেন তমাল। পঙ্কজকে পেয়ারা কুড়োতে দেখে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তার বাঁ পায়ের গোড়ালির উপরে কাস্তের কোপ বসিয়ে দেয়। ছেলেটির পা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। যন্ত্রণায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চোখের সামনে ওই দৃশ্য দেখে লোকজন ছুটে আসেন। তমালকে ধরে ফেলে মারধর চলে। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পঙ্কজকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার ক্ষতস্থানে কয়েকটি সেলাই পড়ে।
ছেলেটির বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে তমালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, রাগের মাথায় তিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন। পঙ্কজ বলে, ‘‘পেয়ারাটা পড়ে ছিল। তাই তুলছিলাম। ওদের বাড়িতে ঢুকিনি। গাছেও উঠিনি। হঠাৎ এসে লোকটা পায়ে মেরে দিল।’’