শপথ নিলেন টাকির উপপুরপ্রধান। — নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’তে কোনও ভুল দেখছেন না তৃণমূলেরই আরও এক সাংসদ ইদ্রিশ আলি। বরং তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সিপিএম যখন নন্দীগ্রাম, বানতলা, সাঁইবাড়ি, সিঙ্গুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, খুন, ছেলের রক্ত মাকে খাওয়ানোর মতো ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটিয়েছে, তখন তো কেউ কিছু বলেনি! অভিষেকের কথায় তা হলে এখন কেন এত হইচই?’’
সোমবার বসিরহাটের প্রান্তিক মাঠে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলার মানুষকে চোখ দেখালে আমরা চোখ ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দিতে পারি। হাত দেখালে হাত কেটে দিতে পারি।’’ মঙ্গলবার টাকিতে পুরবোর্ড গঠনের অনুষ্ঠানে এসে বরং এক ধাপ এগিয়ে সিপিএমকে ‘গোখরো সাপ’ আখ্যা দেন ইদ্রিশ। তাঁর পরামর্শ, ‘‘আমাদের সকলেরই উচিত সিপিএম ও বিজেপিকে ঘৃণার চোখে দেখা।’’
এ দিন টাকি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলের আজিজুল ইসলাম গাজি। সেই উপলক্ষে টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়-সহ প্রমুখ। ওই সভায় দলের যুবনেতার কথা সমর্থন করে ইদ্রিশ বলেন, ‘‘সকলকে মনে রাখতে হবে, দলে এক জনই কেবল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি আমরা সকলে কর্মী। দল কোনও রকম দালালি, প্রমোটারিকে প্রশ্রয় দেবে না।’’
আসন্ন বিধানসভায় জেলার সব কটি আসন তৃণমূল পাবে বলে জানান তিনি। গৌতম দেব এখন আবদুল মান্নানকে নিয়ে জোট করার স্বপ্ন দেখছেন। দলের মানুষরা রাহুল সিংহকে তাড়া করছে। গোখরো সাপ, শয়তান সিপিএমকে কিছুতেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করেন ইদ্রিশ। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা মানুষকে পাশে নিয়ে যে উন্নয়ন শুরু করেছে তা যাতে কোনও ভাবেই নষ্ট না হয় সে জন্য প্রয়োজনে দলের কর্মীরা রক্ত দিয়েও সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে আটকাবে।’’
এ দিন এই সভায় বসিরহাটের উন্নয়ন তুলে ধরে দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘দুশো কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ করে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হচ্ছে। একশো কোটি টাকা খরচে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা যাওয়ার সীমান্ত বাণিজ্যের রাস্তা ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ টাকির মানুষ যাতে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পান সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। হাসনাবাদে কাঠাখালি নদীর উপর ৯১ কোটি টাকা সেতুর কাজ দু’চার দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে বলে দীপেন্দু জানান।