‘নমএআইস্তে—আইআইএইচএম হসপিটালিটি জিপিটি’ -র উদ্বোধনে আইআইএইচএম চেয়ারম্যান সুবর্ণ বসু। —নিজস্ব চিত্র।
আতিথেয়তা (হসপিটালিটি) ক্ষেত্রে নতুন দিশা নিয়ে এল আইআইএইচএম। কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে আতিথেয়তা ক্ষেত্রের জন্য একটি জ্ঞানকোষ তৈরি করেছে আইআইএইচএম। শুধুমাত্র আতিথেয়তা শিল্পের জন্য এই প্রথম কোনও এআইভিত্তিক জ্ঞানকোষ তৈরি হল।
‘নমএআইস্তে—আইআইএইচএম হসপিটালিটি জিপিটি’ আর পাঁচটা সাধারণ জ্ঞানকোষ বা চ্যাটবটের থেকে অনেকটাই আলাদা। আতিথেয়তা ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রথম সারির সংস্থা, পড়ুয়া এবং অন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে এক অসীম সম্ভাবনাময় দিক খুলে দিয়েছে এই জ্ঞানকোষ। আতিথেয়তা ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের এক অসীম ভান্ডার হয়ে উঠেছে ‘নমএআইস্তে—আইআইএইচএম হসপিটালিটি জিপিটি’, যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা চ্যাটবটের থেকে আলাদা। এই জ্ঞানকোষ আতিথেয়তা ক্ষেত্রে তথ্য এবং গবেষণার জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই জ্ঞানকোষের মাধ্যমে আতিথেয়তা শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে এক বিপ্লব আসতে পারে। এ ছাড়া আতিথেয়তা শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা আরও ভাল ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। আতিথেয়তা শিল্পে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কৌশলের বিষয়ে দ্রুত জানতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ এই জ্ঞানকোষ আইআইএইচএম চেয়ারম্যান সুবর্ণ বসুর মস্তিস্কপ্রসূত। ‘নমএআইস্তে—আইআইএইচএম হসপিটালিটি জিপিটি’ উদ্বোধনের সময়ে তিনি জানান, আতিথেয়তা শিল্প এই নতুন জ্ঞানকোষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। গোটা আতিথেয়তা শিল্পজগত এটির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। সুবর্ণের কথায়, “এটি গোটা বিশ্বের ভাবনাকে পাল্টা দেবে। এটি শুধুমাত্র কোনও প্রযুক্তিগত বিস্ময় নয়, চিন্তাভাবনার এবং নতুন করে ভাবার একটি নতুন ভোরের সূচনা।”
‘নমএআইস্তে—আইআইএইচএম হসপিটালিটি জিপিটি’-র উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র।
আইআইএইচএম গ্লোবাল ক্যাম্পাসে এআইভিত্তিক ওই জ্ঞানকোষের উদ্বোধনে ভারতের পাশাপাশি বিদেশি অতিথিরাও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুবর্ণ বলেন, “এই জিপিটি উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষতার ‘ইঞ্জিন’। এটির মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বের অন্য প্রথম সারির (দেশগুলির) সঙ্গে সমকক্ষ হয়ে উঠেছে ভারত। ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। যদি আমেরিকার কাছে গুগল থাকে, চিনের কাছে ডিপসিক থাকে, তবে ভারতের কাছেও এখন ‘নমএআইস্তে’ আছে।”
আইআইএইচএম-এর এই এআইভিত্তিক জ্ঞানকোষ তৈরিতে সাহায্য করেছে ‘এনটিওভি টেকনোলজিস’। ওই সংস্থার ডিরেক্টর সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় জানান, নমএআইস্তের অনন্যতা এর প্রযুক্তিতে নয়, এটির অনন্যতা রয়েছে জ্ঞানের ভান্ডারে। বিশ্বের ৬০টি দেশের জ্ঞানভান্ডার এই জ্ঞানকোষে রয়েছে বলে জানান তিনি। এর গুরুত্ব বোঝাতে সঞ্জয় জানান, পশ্চিমবঙ্গের কোনও পড়ুয়া জাপানি রান্নার ইতিহাস জানতে চাইলে, জাপানি নথি থেকে সেটি বাংলায় পেয়ে যাবেন।