আইআইটিতে প্রতিবাদ

মৌন প্রতিবাদে আইআইটির শিক্ষকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

মহা-আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন আইআইটি খড়্গপুরের শিক্ষকেরা! তাঁদের জুলাইয়ের বেতন থেকে কারও ১০ হাজার, কারও ১৫ হাজার, কারও বা ১৮ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে! বলা হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তাঁরা যে-লিভ ট্রাভেল কনসেশন (এলটিসি) বা হোম ট্রাভেল কনসেশন (এইচটিসি) নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে! টানা ৩৬ মাস টাকা কেটে নেওয়া হবে। এই নতুন নিয়মে কাউকে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হতে পারে।

Advertisement

মাথায় হাত পড়েছে শিক্ষকদের। প্রতিবাদে নেমেছেন তাঁরা। ছাত্রদের পঠনপাঠনে ক্ষতি না-করে তাঁরা বৃহস্পতিবার মৌনী প্রতিবাদে শামিল হন। তাতে কর্তৃপক্ষ যে অসন্তুষ্ট, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। ১৯৭৩ সালে তৈরি আইআইটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই প্রতিবাদে সব শিক্ষক অবশ্য যোগ দেননি। যাঁরা ওই ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এলটিসি নেননি, তাঁরা প্রতিবাদ করছেন না।

আইআইটি-র রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ শুক্রবার শিক্ষকদের ই-মেল করে জানান, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এ দিনই শিক্ষক সংগঠনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শনিবার চিঠি দিয়ে রেজিস্ট্রারকে বলা হবে, অগস্টের বেতন পাওয়ার পরে যদি দেখা যায় যে, সেখান থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে, তা হলে তাঁরা আবার প্রতিবাদে নামবেন।

Advertisement

২০১০ সালে কেন্দ্রের একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়, আইআইটি-র শিক্ষকেরা এলটিসি, এইচটিসি বা প্রজেক্টের কাজে ভ্রমণে গেলে আইআরসিটিসি-র মতো সরকারি সংস্থা থেকে টিকিট কাটতে হবে। খড়্গপুর আইআইটি-র শিক্ষকদের অভিযোগ, এ কথা তাঁদের জানানো হয় ২০১৭ সালে। তত দিনে অধিকাংশ শিক্ষকই স্থানীয় এজেন্টদের দিয়ে টিকিট কেটে এলটিসি এবং এইচটিসি-র সুবিধা নিয়েছেন। ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত যাঁরা সেই সুবিধা নিয়েছেন, এখন তাঁদের টাকা কেটে নিতে শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement